রাজধানীতে ছাদ থেকে নিচে পড়ে নারীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

পরের সংবাদ

সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী শনাক্তে ডিএমপির কমিটি : বিএনপির মহাসমাবেশ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামানকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়। পরে কমিটিতে পুলিশের অন্য সদস্যদের যুক্ত করা।
গতকাল বিকালে হামলার শিকার সাংবাদিকরা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন সাংবাদিকরা। এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির বার্তা প্রধান (হেড অব নিউজ) শাকিল আহমেদ, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্য সচিব মানস ঘোষ, সাংবাদিক নিজামুল হক বিপুলসহ হামলার শিকার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। একইসঙ্গে হামলার শিকার সাংবাদিকরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে দৈনিক কালবেলার নিজস্ব প্রতিবেদক রাফসান জানি বলেন, হামলাকারীরা প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। সাংবাদিকদের মারধরের পাশাপাশি তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়, ক্যামেরা ভাঙচুর করে। এতকিছুর পরও তারা প্রমাণ নষ্ট করতে পারেনি। বিভিন্ন মাধ্যমে হামলাকারীদের ফুটেজ, ছবি রয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পর পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি সম্পদের ক্ষতি করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু এতদিনেও সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা চিহ্নিত হয়নি। আমরা চাই, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর আমি পুলিশ সদস্যদের যেমন খোঁজ নিয়েছি, তেমনিভাবে আহত সাংবাদিকদেরও খোঁজ নিয়েছি। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে আঘাত করা হয়েছে, এটা হামলার ধরন দেখলেই বোঝা যায়। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর আরও বেশি করে পেটানো হয়েছে। সাংবাদিকদের কেন হামলা করা হলো তা বিশ্লেষণের দাবি রাখে। পৃথিবীর অন্য কোথাও এমনটি দেখা যায় না।
জড়িতদের চিহ্নিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে বিচারের জন্য পাঠানো হলো পুলিশের কাজ। এটা করার জন্য আমাদের সর্বাত্মক আন্তরিকতা রয়েছে। ঘটনাস্থলগুলোর ছবি, ফুটেজ রয়েছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে। আমাদের ছোট একটা টিম টাস্কফোর্সের মতো করে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপি মহাসমাবেশের দিন পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় ৩০ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়