রাজধানীতে ছাদ থেকে নিচে পড়ে নারীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

পরের সংবাদ

বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রায় জবিতে নববর্ষ উদযাপন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাসমারোহে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়। এ শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে ফের জবি ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
এবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন/মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়। শোভাযাত্রায় একটি রিকশায় করে নতুন বর বউয়ের যাত্রার প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়। রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়। এছাড়াও ল²ীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘের মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনগুলো স্থান পায়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটির আয়োজনের দায়িত্বে ছিল চারুকলা অনুষদ। মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় বক্তৃতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া সত্ত্বেও সীমিত অবকাঠামো নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহৎ পরিসরে নববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে। সারাদিনব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যায়ের মূল প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থী। আর এ ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অসম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে যেন সা সম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার স্থান না পায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর

রহমান আমাদের সংবিধানের চারটি স্তম্ভের মাধ্যমে পথ দেখিয়ে গেছেন। সেই সংবিধানকে নিয়েই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে এগিয়ে যেতে চাই।
এরপর শুরু হয় গ্রামীণ যাত্রাপালা। এতে উচ্ছ¡াস দেখা যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। এছাড়া সংগীত পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ, সঙ্গীত বিভাগ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা চালু হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়