গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা : অর্থ আত্মসাৎ

আগের সংবাদ

মন্ত্রী-এমপির হস্তক্ষেপে লাগাম

পরের সংবাদ

সেপটিক ট্যাঙ্কে দুর্ঘটনা এড়াতে হতে হবে সচেতন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে অহরহ দেখা যায় মানুষের মৃত্যু হয় সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে। তাই যারা এগুলো কাজ করি এবং করিয়ে নেয় তারা একটু সতর্ক হলেই বেঁচে যাবে প্রাণ, এড়ানো যাবে মৃত্যুঝুঁকি। সেপটিক ট্যাঙ্কে জৈবপদার্থ অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে ডিকম্পোজ অর্থাৎ পচন হয়। এই সময় মিথেন, হাইড্রোজেন সালফাইড, এমোনিয়া, কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্যাস উৎপন্ন হয়। এদের প্রায় প্রত্যেকটা গ্যাসই শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বিষাক্ত। তাছাড়াও সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর বিক্রিয়ার কারণে সেখানে থাকা অক্সিজেন প্রায় শূন্য হয়ে যায়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়ে এবং মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এই কারণে সব সময় বলা হয় যে, সেপটিক ট্যাঙ্কে নামার আগে দীর্ঘ সময়ের জন্য ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে বায়ু চলাচলের জন্য সুযোগ করে দিতে হয়। তারপর ট্যাঙ্কে নামার আগে মোমবাতি জ¦ালিয়ে দড়ি বা অন্য কিছুর সাহায্যে ট্যাঙ্কের ভেতর নামিয়ে দেখতে হবে বাতি জ¦লছে কিনা। বাতি জ¦লছে না মানে অক্সিজেন স্বল্পতা আছে। তখন সেপটিক ট্যাঙ্কে নামা যাবে না। আবার ট্যাঙ্কের ঢাকনা খোলার সঙ্গে সঙ্গে বা বায়ু প্রবাহের জন্য যথেষ্ট সময় না দিয়ে ট্যাঙ্কের ভেতর আগুন জ¦ালানোও উচিত না। এক্ষেত্রে ট্যাঙ্কে জমা থাকা মিথেন গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার কমপক্ষে একদিন অথবা ৫-৬ ঘণ্টা আগে ঢাকনা খুলে দিয়ে রাখতে হবে এবং পরিষ্কার করার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করা। এছাড়া পরিষ্কারকারী দল নিজেদের সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার বহন করতে পারলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।

আল মাসুম হোসেন : শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়