গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা : অর্থ আত্মসাৎ

আগের সংবাদ

মন্ত্রী-এমপির হস্তক্ষেপে লাগাম

পরের সংবাদ

সূর্য যেন আগুন ছড়াচ্ছে : বেশির ভাগ অঞ্চলেই বইছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কয়েক দিন ধরেই সূর্য যেন আগুন ছড়াচ্ছে চারিদিকে। ফলে নদীবেষ্টিত এই বদ্বীপেও বিরাজ করছে মরুভূমির মতো তপ্ত আবহাওয়া। দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলেই বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এরইমাঝে কোথাও মাঝে মাঝে প্রকৃতি ঢালছে বৃষ্টির পানি। ৮-১০টি এলাকায় হয়েছে বৃষ্টি। ২৪ মিলিমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে বৃষ্টিপাত। কিন্তু তাতে কী! ক্ষণিকের বৃষ্টিতে শীতল হচ্ছে না আবহাওয়া। ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে বয়ে যাওয়া দাবদাহে জেরবার জনজীবন। এ অবস্থা থেকে সহসাই পরিত্রাণ মিলছে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, আবহাওয়ার তপ্ততায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। আর এতে গরমও বাড়ছে। এ তপ্ত গরমে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন নি¤œআয়ের লোকজন। জীবিকার তাগিদে কাজে বের হয়ে পড়ছেন চরম বিড়ম্বনায়। বাড়ছে রোগ-ব্যাধিও। চৈত্রের শেষ দিক থেকেই তাপপ্রবাহ বইছে ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়েই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপও। গতকাল বুধবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি হলেও গরমের অনুভূতি ছিল ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি।। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়- ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আগের দিনও একই তাপমাত্রা ছিল জেলাটিতে। এছাড়া রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৩, রংপুরে ৩৪ দশমিক ৩, ময়মনসিংহে ৩৬ দশমিক ৫, সিলেটে ৩৫ দশমিক ৩, চট্টগ্রামে ৩৫, খুলনায় ৩৯ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বেশির ভাগ অঞ্চলেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এ মৌসুম ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম। ঝড়-বৃষ্টি হতেই থাকবে। তবে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ যদি পর্যাপ্ত না হয়, তাহলে গরম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ মৌসুমে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রির উপরে উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অনেক দিন ধরে টানা তাপমাত্রা বেশি থাকায় মাটির নিচের পানির স্তর আরো নিচে নেমে যেতে থাকে। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে গরমের তাপমাত্রা যা আছে, তার চেয়ে বেশি অনুভূত হয়। ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলের অবস্থাই এমন।
গতকাল বুধবার বিকালে রাজধানী ঢাকায় কিছু বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের হিসাবে ১২ মিলিমিটার। এতে মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এলেও তা স্থায়ী হয়নি। বৃষ্টির পরেই আবার উত্তপ্ত রূপ ফিরে আসে মহানগরীর আবহাওয়ায়। এছাড়া চাঁদপুর, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, পঞ্চগড়, ফেনী ও কুমিল্লার কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে- ২৪ মিলিমিটার। ফরিদপুরে ২৩ ও চাঁদপুরে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়