গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা : অর্থ আত্মসাৎ

আগের সংবাদ

মন্ত্রী-এমপির হস্তক্ষেপে লাগাম

পরের সংবাদ

বিশৃঙ্খলা আর জনভোগান্তি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সব জায়গায় জনভোগান্তি আর বিশৃঙ্খলায় ভরপুর। মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা ভোগান্তির সঙ্গেই লেগেই আছে। সব ধরনের ভোগ্য পণ্য আর ঈদ বাজারে অধিক অর্থ ব্যয় করে ক্রেতাকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে। মুসলিম হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আরো যত জাতি রয়েছে, সব ধর্মের সংস্কৃতি, দিবস পৃথক পৃথকভাবে উদযাপিত হয়। সব ধর্মের অনুসারীদের তাদের নিজস্ব রীতি-নীতি ও সংস্কৃতির মধ্যে নতুন জামা-কাপড়ের চাহিদা থাকে। এটি বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহ্য।
বাংলা নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ বাঙালির ঘরে ঘরে আবার এসেছে। বাংলা সনের হিসাব, বাংলা গণনের বছর শুরু হয়েছে। আবার এসেছে বাংলা নববর্ষ। মুসলমানদের রোজা, রমজান, ঈদ উদযাপনের মধ্যেই বাংলা নববর্ষের আগমন। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই আমরা বাঙালি জাতি। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র নিজ নিজ অবস্থান থেকে ধর্ম সংস্কৃতি জাতীয় কৃষ্টি কালচার লালন-পালন ও অনুসরণ-অনুকরণ করবে।
নানা গোত্র, নানা জাতি ও কৃষ্টি কালচার দেশ বাংলাদেশ। যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে কোনো বাধা থাকবে না। জনগণের দেশ জনগণের সরকার। সব ধর্মের সমান অধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার সমানতালে সবাই ভোগ করবেন। সেটিই আমার আশা। ঈদ, পূজা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কেউ কারো প্রতিপক্ষ হবে না। সব গোত্রের মধ্যে ধর্মীয় স্বাধীনতা অধিকার নিশ্চিত থাকবে। সেটিই বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও অহংকার। বাংলা নববর্ষ, বাংলা সন এবং নববর্ষের ঐতিহ্য। বাঙালি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ধর্ম-গোত্র সবার মধ্যেই আন্তরিক ভালোবাসা এবং গভীরভাবে উদযাপিত হয়।
দিবস উদযাপনে বিশৃঙ্খলা উচ্ছৃঙ্খলতার কোনো সুযোগ নেই। বাঙালি জাতির ভাষা সংস্কৃতিতে ধর্মকে অযাচিতভাবে টেনে এনে বিতর্ক বিশৃঙ্খলার প্রয়োজন নেই। বহু গোত্র, বহু ধর্ম, মসজিদ, গির্জা, মন্দিরের বাংলাদেশ। ছোট্ট এই দেশে সকাল, বিকাল, বাজার, স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম গোত্র সবার সঙ্গে মিলনমেলা আড্ডা হয় প্রতিনিয়ত। এর নাম বাংলাদেশ, এটিই আমাদের সংস্কৃতি ও সম্প্রীতি।
শৃঙ্খলা ধর্ম কর্ম সংস্কৃতি এবং গোত্রের মধ্যে থাকতে হবে। জাতীয় দিবস জাতীয় চরিত্র নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্কের সুযোগ নেই। শৃঙ্খলার ও ভোগান্তিহীন জীবনযাপন জাতির উন্নত চরিত্র হওয়া চায়। ধর্ম, গোত্র, সংস্কৃতির কারণ যেন ভোগান্তি ও বিশৃঙ্খলা না হয়। জাতীয় ও শৃঙ্খলা গোত্রে থাকা চায়। কোনো দিবস ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে জনভোগান্তি কাম্য নয়। জাতীয় হিসেবে আমরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যেতে চাই। তবে কাউকে ছোট করে নয়, শৃঙ্খলা ভোগান্তিহীন জীবনযাপন সবার নৈতিক প্রচেষ্টা থাকা চাই। জাতীয়ভাবে শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে অবদান রাখা চাই। কাউকে যন্ত্রণা আর ভোগান্তির মধ্যে ফেলে জাতীয় ঐক্য সফল করা সম্ভব নয়। আসুন ভোগান্তিহীন ও সুশৃঙ্খল সমাজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখি।

মাহমুদুল হক আনসারী : গবেষক ও কলামিস্ট, চট্টগ্রাম।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়