গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা : অর্থ আত্মসাৎ

আগের সংবাদ

মন্ত্রী-এমপির হস্তক্ষেপে লাগাম

পরের সংবাদ

প্রজনন রক্ষায় হালদা নদীতে মাছ শিকার বন্ধ : হালদাপাড়ের জেলেদের দুর্বিষহ জীবন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম. রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : রাউজান উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত কর্ণফুলী নদী, কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে সংযুক্ত হালদা নদী, উভলংখাল, হৃদখাল, হালদা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত সর্তা খাল, তেলপার খাল, হাতিজোড়া খাল, কাগতিয়া খাল, মইশকালী খাল, মঙ্গলখালী খাল, ডাবুয়া খাল, ছাউদ্যা জোড়া খাল, বুড়িসর্তাখাল, কেউচিয়া খাল, মুগদা খাল, খাসখালীখাল, বেরুলিয়াখাল, কাঠালভাঙ্গা খাল, বইজ্যাখালী খাল, মগদাই খাল, কালচাইন্দা খাল, ডোমখালী খাল, সোনাইর খাল, কলমপতি খাল, মুকছড়ি খাল, ভোমর ঢালা খাল, হরনাথ ছড়াখালসহ বিভিন্ন খালে প্রচুর পরিমাণ মাছ পাওয়া যেত। জেলেরা নদী ও খালে মাছ ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাছন্দে জীবন যাপন করতো। হালদা নদীতে মা মাছের প্রজনন রক্ষায় মাছ শিকার নিষিদ্ধ করায় হালদা নদীর তীরবর্তী বসবাসকারী জেলেরা মাছ শিকার ছেড়ে দিয়ে দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসাসহ অন্য পেশায় চলে গেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হালদা নদীতে মাছ শিকার করছে জেলেদের পরিবর্তে অন্যগোত্রের লোকজন। কর্ণফুলী নদীতে মাছ শিকার করে দুই শতাধিক জেলে এখানো বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছে। কর্ণফুলী নদীতে রাউজান, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া, চান্দগাঁও এলকার অর্ধসহস্রাধিক জেলে প্রতিদিন নৌকা নিয়ে কেউ জাল বসিয়ে, কেউ বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করেন। কর্ণফুলী নদীতে প্রতিদিন চিংড়ি, বাইলা, পোপা মাছ, কেচকি মাছ ধরে তা বিক্রয় করে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করেন জেলে পরিবারের সদস্যরা। এই টাকা দিয়ে জেলে পরিবারের সদস্যরা পরিবার পরিজনের ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খেতে হয়।
রাউজানের নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ইন্দিরা ঘাট, গহিরা মোবারক খীল জামতলা, কাগতিয়া আজিমের ঘাট, কাগতিয়া বাজার, জাম্যইন, আজিমের ঘাট, মগদাই, উত্তর গুজরা, রাউজান ইউনিয়নের পশ্চিম রাউজান, কদলপুর ঈশান ভট্টের হাট, পাহাড়তলী চৌমুহনী, বাগোয়ানের লাম্বুরহাট, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের উভলং, ঝিকুটি পাড়া, কচুখাইন, উরকিরচর মইশকরম এলাকায় জেলে পরিবারের বসবাস। জেলেদের মধ্যে কেউ কেউ দলবদ্ধ হয়ে নিজেদের জাল দিয়ে পুকুর জলাশয়, মৎস প্রকল্পে টাকার বিনিময়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
উভলং জলদাশ পাড়ার বাসিন্দা জেলে রতন জলদাশ বলেন, প্রতিদিন কর্ণফুলী নদীতে নৌকা নিয়ে জাল দিয়ে মাছ ধরে যে পরিমাণ মাছ পাওয়া যায় তা বিক্রয় করে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করি। ওই টাকা দিয়ে পরিবারের ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খেতে হয়। রাউজান উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, হালদা নদীর মা মাছের প্রজনন রক্ষায় মাছ শিকার নিষিদ্ধ করার পর থেকে নদীর তীরবর্তী জেলে পরিবারের সদস্যদের স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হয় মাছ শিকার ব্যতিত বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য। এছাড়া জেলে পরিবারের সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়