কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে মো. রবিন নামে এক তরুণের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি দুটি মামলার আসামি ছিলেন। গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ প্লাজার পেছনের লেক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
কীভাবে রবিনের মৃত্যু হয়েছে সেটি নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকায় এটিকে অপমৃত্যু বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃতের স্বজনরা বলছেন, রবিন মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। চট্টগ্রামে বসবাসরত বাড়ি থেকে প্রায়ই তিনি বের হয়ে যেতেন এবং কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতেন না। ঢাকায় বসবাসরত স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গেও তার কোনো যোগাযোগ ছিল না।
মৃত্যুর পেছনে ভিন্ন কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিট ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, রবিন কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার বদরপুরের মো. আবদুল সাত্তারের ছেলে। বর্তমানে বাবা-মায়ের সঙ্গে চট্টগ্রামের কুসুমবাগ আবাসিক এলাকায় থাকতেন। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় একটি ডাকাতির প্রস্তুতি এবং একটি চুরির মামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তার স্বজনরা পুলিশকে জানিয়েছে, ২য় রমজানে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি রবিন। ঢাকায় কেন এসেছিলেন, সেই প্রশ্নেরও উত্তর মেলেনি।
ডিএমপির বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা বলেন, সকালে পথচারীরা লেকে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার রাত থেকে লাশটি পানিতে পড়ে থাকতে পারে। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও গত ১৫ এপ্রিল হাতিরঝিল থেকে ভাসমান অবস্থায় ফয়েজ কাদের চৌধুরী নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে রাগারাগি করে হাতিরঝিলে আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।