বেড়ানোর বাহানায় ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার দুই

আগের সংবাদ

মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

পরের সংবাদ

বর্ণিল শোভাযাত্রায় জবিতে নববর্ষ উদযাপন কাল : প্রতিপাদ্য রিকশাচিত্র ও বিলুপ্ত কুমির

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জবি প্রতিনিধি : ঈদের ছুটি থাকার কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নববর্ষ উদযাপন করা যায়নি। তাই এ দিনটি উদযাপন করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এবারের বর্ণিল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্র ও বাংলার বিলুপ্ত প্রাণী কুমিরকে প্রতিপাদ্য করে ফুটিয়ে তোলা হবে। শোভাযাত্রা শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ১৮ এপ্রিল বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। অনুষ্ঠান সূচিতে বলা হয়, সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা জবি ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে আবার জবি ক্যাম্পাসে এসে শেষ হবে। এরপর একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্ত্বরের সামনে আলোচনা সভা, সংগীত বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান এবং নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী সময়ে বিকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রযোজনায় রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যান্ড সংগীত

পরিবেশিত হবে।
২০১৪ সাল থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবারের পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে চারপাশের দেয়ালে পেইন্টিং করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রে ফুটে উঠেছে ফুল, মাছ, নৌকা, বাঘ, ময়ূরসহ নানা ধরনের চিত্র।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ঈদের ছুটি থাকায় অনাবাসিক এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখের দিন নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পাওয়া যেত না। তাই ক্যাম্পাস খোলার দিনে ১৮ এপ্রিল নববর্ষ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সারা দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজনে ক্যাম্পাসের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ঢাকার সর্বস্তরের মানুষ এতে যোগদান করবে বলে আমরা মনে করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়