বেড়ানোর বাহানায় ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার দুই

আগের সংবাদ

মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

পরের সংবাদ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র : অধিকাংশ কোয়ার্টার বেদখল ফাঁকাগুলো মাদকের আখড়া

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (পুরাতন হাসপাতাল) সরকারি কোয়ার্টারগুলো বেদখল হয়ে আছে। অনেক কোয়ার্টার ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তদারকির অভাবে সেগুলো পরিণত হয়েছে মাদকসেবীদের আখড়ায়। চুরি হয়ে যাচ্ছে মূল্যবানসামগ্রী। এ ব্যাপারে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেকটাই অসহায়। প্রায় দুই যুগ আগে এখানে প্রথম শ্রেণির ৪টি ইউনিট, দ্বিতীয় শ্রেণির ২টি ইউনিট, তৃতীয় শ্রেণির ৪টি ইউনিট ও চতুর্থ শ্রেণির ৪টি ইউনিট নির্মাণ করা হয়। বিএমএর ভবনও তৈরি করা হয় একটি। নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই বাসাগুলোতে ভাড়া থাকবেন। এই বাসাগুলোতে থাকার জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু কেউ ভাড়া থাকেন না। যারা আছেন ভাড়া বেশি অজুহাতে তারাও ভাড়া দেন না। প্রায় এক যুগ থেকে এভাবে প্রায় বিনা ভাড়াতেই বাসা দখল করে আছেন তারা। বিদ্যুৎ বিল তাদের পরিশোধ করার সুযোগ নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই নাকি তাদের ব্যক্তিগত ব্যবহার্য বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, বিএমএ ভবনে একজন ঠিকাদারও বাস করেন। নির্মাণকাজে নিযুক্ত ১০-১২ জন ভবনে বাস করছেন। বাসা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়না তাদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, প্রকৃত ভাড়ার মাত্র ১০ শতাংশ ভাড়া দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাসাগুলোতে থাকতে পারবেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন এই নির্দেশনা দিতে পারেন কিনা সে প্রশ্নও উঠেছে। অন্যদিকে অনেক কোয়ার্টার ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ২য় শ্রেণির ইউনিটগুলো ৫-৬ বছর থেকে পড়ে রয়েছে ফাঁকা। এগুলো পরিণত হয়েছে মাদকের আখড়ায়। চুরি হয়ে যাচ্ছে ভবনের সামগ্রী। এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রকৃত ভাড়ার মাত্র ১০ শতাংশ ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে কিনা তা তার জানা নেই। সরকারি নীতি অনুযায়ী এটা হওয়ার কথা নয়। তিনি মাত্র ৩ মাস হলো এখানে বদলি হয়ে এসেছেন। কেউ বিনা ভাড়ায় রয়েছেন বা কেউ দখল করে রয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। সত্যি হলে ব্যবস্থা নেবেন তিনি। তিনি স্বীকার করেন যে, ফাঁকা পড়ে থাকা বাড়িগুলো মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ভবনের অনেক কিছু চুরি হচ্ছে। এজন্য তিনি অসহায়। তিনি বলেন যে, আমাদের লোকবল কম। পুরাতন হাসপাতাল দেখভালের জন্য লোক পাব কোথায়?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়