বেড়ানোর বাহানায় ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার দুই

আগের সংবাদ

মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

পরের সংবাদ

চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা : চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জিয়াউর রহমান রিন্টু, চৌগাছা (যশোর) থেকে : উপজেলা পর্যায়ে বারবার পুরস্কারপ্রাপ্ত যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান চিকিৎসাসেবাটাই এখন হুমকির মুখে। প্রায় ২ লাখ উপজেলাবাসী এবং হাজারো বহিরাগতদের চিকিৎসাসেবায় হাসপাতালে ডাক্তার আছেন মাত্র ৭ জন। অভিযোগ উঠেছে আগে থেকে চিকিৎসক সংকট এবং কিছু চিকিৎসকের স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের জন্যই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
গত সোমবার হাসপাতালে ডাক্তার সংকটের বিষয়টি জানার পরে ১৬ এপ্রিল সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। দেখা যায় সকাল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি, আরএমওর দায়িত্বপালনকারী ডা.ইমরান এবং ডা. সুরাইয়া পারভিন জরুরি বিভাগসহ শতশত রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। বিকালের শিফটে ডা. খন্দকার জুলকার ইসলাম দায়িত্ব পালন করবেন।
হঠাৎ করেই চিকিৎসক সংকটের কারণ জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসক সংকটে ভুগছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতলে ১০টি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদের বিপরীতে অফিসিয়ালি আছেন ৫ জন। তাদের একজন পদের বিপরীতে বাকি ৪ জনের ১ জন ছুটি ছাড়াই ৬ মাস অনুপস্থিত এবং ২ জন প্রেশনে অন্যত্র এবং একজন এনসথেসিস্ট (অজ্ঞানের ডাক্তার)। আর আরএমও হিসেবে এখানে কেউই নেই। ১৯টি মেডিকেল অফিসার পদের বিপরীতে অফিসিয়ালি আছেন ৯ জন। তাদের মধ্যে ৩৩ বিসিএসের ডা. মৃদুল কান্তি ২০১৪ সালের ২৬ আগস্ট জয়েন করেন ১ দিন অফিস করে ১০ বছরের মধ্যে আর আসেননি এবং মেডিকেল অফিসার ডা. শান্তা ১ বছর হাসপাতালে আসেন না। তারপরেও চলছিল কিন্তু হঠাৎ করে ৪ জন মেডিকেল অফিসারের অন্যত্র বদলি হওয়াতে চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। ডা. লাকি বলেন সব বিষয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গোলাম রসুল (অর্থপেডিকস্) ছুটি ছাড়া ৬ মাস অন্যত্র ডাক্তারি করছেন। মেডিকেল অফিসার ডা. মৃদুল কান্তি ১০ বছর এবং ডা. শান্তা ১ বছর অনুপস্থিত থাকলেও তারা মূলত প্রবাসে আছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ এবং ডাক্তারি সেবার মান ভালো হওয়ার কারণে দিন দিন রোগীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে রোগী এবং তার সঙ্গে থাকা সাহায্যকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন। অন্যদিকে এই প্রচণ্ড তাপদাহে সামান্য কয়জন চিকিৎসক শতশত রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে রীতিমতো হাপিয়ে উঠছেন। তাই হাসপাতালের সেবার মান অক্ষুণ্ন রাখতে এবং অসুস্থ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অতি দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জনগণ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়