বেড়ানোর বাহানায় ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার দুই

আগের সংবাদ

মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

পরের সংবাদ

একই গোষ্ঠী অপপ্রচারে বারে বারে ফিরে আসে

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈদ এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টানা ৫ দিন ছুটি ছিল। এবার ঈদ এবং বাংলা নববর্ষ ছিল একেবারেই একে অপরের সঙ্গে লাগোয়া। ১১ তারিখ বাংলাদেশে ঈদ অনুষ্ঠিত হলো। ঈদের পর শুক্র-শনি এমনিতেই সরকারি ছুটি, এর ওপর এবার ঈদের ছুটি, রবিবার বাংলা নববর্ষের ছুটি। দুই উৎসব উপলক্ষে সবারই ছুটি কাটানোর সুযোগ পাওয়া গেল। সে কারণেই শহর ছেড়ে বহু মানুষ গ্রামে ঈদ উদযাপন করতে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এবার রেল, সড়ক, নৌ এবং বিমানপথে মানুষ সুবিধামতো সময়ে কর্মস্থল ত্যাগ করার যাত্রা অনেকটাই ছিল স্বস্তির। রবিবার নববর্ষের ছুটি থাকায় অনেকেই কক্সবাজারসহ নানা পর্যটন কেন্দ্রে সপরিবারে বেড়াতে গেছেন। দুই উৎসবেই যে যার মতো করে অংশ নিয়েছেন। এবার আরো মজার বিষয় হলো পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে একই সঙ্গে বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি স্রেফ পঞ্জিকা হিসাব মতোই কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে। ফলে আমাদের দেশেও যারা পঞ্জিকা দেখে নববর্ষ উদযাপন করেন তাদেরও এবার নববর্ষ উদযাপনে অংশ নিতে দেখা গেছে। অন্য বছরগুলোতে তাদের সবার সঙ্গে নববর্ষ বরণে অংশ নিতে দেখা যেত না, পরদিন তারা হালখাতা খুলে তাদের মতো করে বর্ষবরণের আয়োজন করতে দেখা যেত। সেদিক থেকে এবার বর্ষবরণের মাত্রায় সংযুক্তি ঘটেছে। দেশব্যাপী ঈদ যেমন উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষও শহরগুলোতে উদযাপনের কোনো ঘাটতি ছিল না। এবার ঢাকায় উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে গুলশানে শাহাবুদ্দিন পার্কে বিশেষ আয়োজনে নানা অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি অনেকেই অংশ নিয়েছেন। এর ফলে কূটনীতি পাড়ার বিদেশি বাসিন্দারা বাংলা নববর্ষের স্বরূপটি বোঝার সুযোগ পেয়েছেন। বিদেশে এই আয়োজনের খবর প্রচারিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থেকে অষ্টগ্রাম ১৪ কিলোমিটার সড়কপথে আলপনা আঁকায় অংশ নিয়েছিলেন ৬৫৫ জন শিল্পী। তাদের এই শিল্পকর্মের সংবাদটি এখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বলা হচ্ছে। এই দীর্ঘ আলপনা চিত্রটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি ঘটলে বাংলা নববর্ষের সঙ্গে পরিচিত হবে বিশ্বের অসংখ্য মানুষ। এমনিতেই হাওরাঞ্চলের মানুষ আলপনাটি দেখার জন্য ছুটে এসেছেন মিঠামইনে। তারা উপভোগ করছেন এমন একটি আলপনা চিত্রকে যা তাদের অনেকেরই কল্পনাতেও ছিল না; কিন্তু আলপনার দৃশ্য তাদের অভিভূত করেছে।
টানা ৫ দিনের ছুটিতে এবারই প্রথম দেশে কোনো পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। সাংবাদিকরাও লম্বা ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন। তবে সব পত্রিকাই সংক্ষিপ্ত অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করেছে। এতে মূলত রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তৃতার কিছু খবরাখবর প্রকাশিত হতো। ঈদ এবং নববর্ষের দিনের সংবাদ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। সেই দিনগুলোতেও প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের বাকযুদ্ধের কিছু নমুনা প্রকাশিত হয়েছে। দুই দলের নেতাদের অভিযোগ সম্পর্কে জানার কৌতূহল মনে হয় না খুব বেশি পাঠকের ছিল। সুতরাং পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণের প্রতি খুব বেশি পাঠকের আগ্রহ ছিল কিনা তা সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলোই ভালো বলতে পারবে। বেশির ভাগ মানুষই উৎসব উদযাপনে নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় সময় কাটিয়েছেন।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলো ঈদ উপলক্ষে কয়েক দিনের অনুষ্ঠান সূচি প্রচার করেছে, বাংলা নববর্ষের দিন বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের খবরাখবর সরাসরি প্রচার করেছে কিংবা সংবাদ যথারীতি প্রচার করেছে। এমনিতেই আবহাওয়া বেশ উত্তপ্ত থাকায় যাতায়াত কিংবা নানা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অনেকের জন্যই বেশ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তারপরও ছুটি কাটানো কিংবা আপনজনদের সময় দেয়ার মধ্যেই সবার ব্যস্ততা কমবেশি ছিল। এভাবেই তো কেটে গেছে এবারের ঈদ ও বর্ষবরণের ছুটির দিনগুলো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এই ছুটিতে সরব হয়ে উঠেছিল পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে। বাংলা নববর্ষকে এদেশে একটি গোষ্ঠী বহুকাল আগে থেকেই সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিতে দেখে থাকে। তারা এর অপব্যাখ্যায় সবসময়ই সর্বশক্তি নিয়োগ করে আসছে। একসময় আমাদের গ্রামগঞ্জে নববর্ষ উপলক্ষে মেলা বসত। মূলত কুটির শিল্পের কারুকার্যখচিত নানা পণ্যসামগ্রী মেলাতে উৎপাদকরা হাজির করত, বেচাকেনা করত। মেলা জমজমাট করার জন্য নাগরদোলাসহ খেলার নানা আয়োজন থাকত। বাঁশি বাজিয়ে মানুষকে আনন্দ দেয়াই শুধু নয়, বেচারও প্রচলন ছিল। হাঁড়ি-পাতিল, নানা রং-বেরঙের খেলনা, পাটি, মিষ্টান্ন বিক্রি হতো মেলায়। কোনো কোনো অঞ্চলের মেলা কয়েক দিন চলত, দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসতেন মেলায়। মেলার ধারণাটি শুধু আমাদের দেশেই নয়, পৃথিবীর সব অঞ্চলে সব জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যেই সব কালে বসতে দেখা যেত। আরব দেশে উটের পিঠে পণ্যসামগ্রী নিয়ে মরুভূমি পাড়ি দিতেন ব্যবসায়ীরা। ইউরোপ থেকে জাহাজভর্তি পণ্য নিয়ে ষোড়শ-সপ্তদশ শতকে পাড়ি জমাত অ্যাটলান্টিক এবং অন্যান্য সাগর মহাসাগরে। ইউরোপেও তখন নদীপথে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য চলত মেলাকে কেন্দ্র করে। মেলা কৃষি অর্থনীতির উদ্ভবের সঙ্গে জড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে মেলারও পরিবর্তন ঘটেছে মাত্র এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ খোঁজার যুক্তি নেই। হজরত মুহাম্মদ (সা.) জীবন শুরুই তো করেছিলেন বিভিন্ন মেলায় পণ্যসামগ্রী নিয়ে উটের কাফেলায় অংশ নিয়ে। এখন পৃথিবী শুধু কৃষি অর্থনীতির মধ্যে আটকে নেই। নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের ফলে মেলার ধরনও বদলে গেছে। আন্তর্জাতিক বহুজাতিক করপোরেশন এখন দেশে দেশে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার অনুষ্ঠিত করে। নিজেদের পণ্যের সঙ্গে অন্যদের পরিচিত করানোর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যকে বিস্তৃত করা হচ্ছে। ঢাকায় প্রতি বছরই এমন বহু মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এসব মেলা নিয়ে ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে তো কেউ কোনো প্রশ্ন করে না। কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে শত শত বছর থেকে জড়িত থাকা মেলাকে নিয়ে এত অপপ্রচার কারা করছে? কেন করছে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলে যাদের দেখা যাবে তারা সাম্প্রদায়িক শক্তি, মেলার ইতিহাস সম্পর্কে তাদের জ্ঞান শূন্যের কোটায়। পৃথিবীর সব অঞ্চলেই সব জাতি-গোষ্ঠীর ইতিহাসে যখন কৃষি অর্থনীতির উদ্ভব ঘটতে থাকে তখনই তারা নিজেদের মতো করে ফসল উৎপাদন, বেচাকেনা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী বিনিময় করার মাধ্যমে জীবনের যে আনন্দ এবং সুখের পরশ পেত তা তারা পারিবারিক, গোত্রীয় বা জাতিগতভাবে উৎসবের মাধ্যমে পালন করার চেষ্টা করত।
ভারতবর্ষে আগে থেকেই দিনক্ষণ গণনার পঞ্জিকার প্রচলন ছিল। কৃষি কাজের জন্যই এর প্রয়োজন হতো। মিসরের মানুষ যখন নীল নদের তীরে চাষাবাদ করত তখন তাদেরও জোয়ার ভাটা, পানি সেচের জন্য দিনক্ষণের হিসাব রাখার থেকেই পঞ্জিকার প্রচলন করতে হয়। পারস্যে নওরোজ তথা নতুন বছরও এভাবেই শুরু হয়েছে, এখনো আছে। ভারতবর্ষেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। সম্রাট আকবর ভারতবর্ষের নববর্ষের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য চান্দ্রমাসের দিনক্ষণকে এই উৎসব পালনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে দেখলেন। কারণ নববর্ষ উৎসব উদযাপনের সঙ্গে সরকারি বার্ষিক খাজনা আদায়ের প্রথা জড়িত ছিল। কিন্তু চান্দ্রমাস যেহেতু প্রতি বছরই ১০ দিন করে এগিয়ে আসে তাই বছরের ফসল কাটা, কৃষকের হাতে অর্থ আগমনের নির্ধারিত সময় রক্ষা করা সম্ভব ছিল না। তাই আকবর দিনটিকে বছরের নির্ধারিত সময়ের ফসল তোলা এবং খাজনা দেয়ার সময় বিবেচনা করে নির্ধারণ করার চিন্তা থেকেই রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজিকে সৌর সন এবং আরবি হিজরি সনের ওপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণের আদেশ দেন।
১৫৮৪ সালের ১০ অথবা ১১ মার্চ এটি প্রবর্তিত হয়। তবে সম্রাটের ক্ষমতা আরোহণ যেহেতু ১৫৫৬ সালে ঘটেছিল তাই এর শুরু ধরা হয় সেই বছর থেকেই। এরপর সুবেদার মুর্শিদ কুলী খান বাংলায় আকবরের রাজস্ব নীতি অনুসরণ করেন। জমিদাররা চৈত্র মাসের শেষদিন হালখাতা খুলে বছরের খাজনা আদায় করতেন আর সবাইকে মিষ্টান্ন খাওয়াতেন। কৃষক ফসল বিক্রি করে এই সময়েই জমিদারদের খাজনা দিতে আসতেন। এটি কৃষি অর্থনীতির একটি বিশেষ দিন হিসেবে এই অঞ্চলে একভাবে পালিত হতে থাকে। স্বভাবতই মানুষের ঘরে তখন নতুন কাপড়চোপড় কেনাকাটা এবং আত্মীয়-স্বজনদের উপহার দেয়ার একটি নিয়ম হিসেবে চালু হয়ে যায়। ফলে নানা পেশার লোকজন নববর্ষকে কেন্দ্র করে মেলায় পসরা সাজাতো। সবচেয়ে বড় বাণিজ্যমেলা হিসেবে মধ্যযুগে আমাদের এখানে নতুন বছরের উৎসবকেই বেছে নেয়া হতো। সুতরাং এর সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে ছিল মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, যার ওপর রাষ্ট্রব্যবস্থাও অনেকাংশে নির্ভরশীল ছিল। যারা বাংলা নববর্ষের উদ্ভবের এই ঐতিহাসিক সম্পর্কগুলো সম্পর্কে জানেন না তারাই কেবল এর উৎপত্তি নিয়ে মনগড়া কিছু কথা বলেন। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিশেষ সম্পর্ক বা বিরোধের কোনো কারণই খোঁজার ভিত্তি নেই। সম্রাট আকবর কিংবা ফতেহউল্লাহ সিরাজি যেই ক্যালেন্ডারটি প্রবর্তন করেন সেটিকে সাম্প্রদায়িক তকমা লাগিয়ে কোনো মুসলমান আসলে নিজের অজ্ঞতাকেই যেন প্রকাশ করে থাকেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যদি প্রশ্ন তুলে বলত যে সম্রাট আকবর যেহেতু এই দিবস এবং উৎসব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন, এটি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, তিনি দাবি করতে পারতেন। কিন্তু ভারতবর্ষের হিন্দুরা তেমন কোনো ওজর আপত্তি কেউ কখনো করেনি। কারণ এর সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক বা বিরোধ নেই। এটি সম্পূর্ণরূপে অর্থনৈতিক স্বার্থে গঠিত হয়েছে। এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নববর্ষের আগে ওই বিশেষ গোষ্ঠী আবার ধর্মীয় কিছু তকমা লাগিয়ে প্রচার-প্রচারণায় মেতে উঠেছিল। তাদের মতে নববর্ষে ইলিশ মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, শুধু শুধু বর্ষবরণে ইলিশ মাছ হত্যা করে খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, এটি হিন্দু রীতিনীতি। মুসলমান হিসেবে এসব পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনকি মিঠামইনে যে আলপনা আঁকা হয়েছে এতে নাকি দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাবে বলে তারা দাবি করেছে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় যেসব চারুকর্ম, সাজসজ্জা, মুখোশ ব্যবহার করা হয়েছে সে সম্পর্কেও তারা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। এর কারণ সহজে অনুমেয়। সভ্যতার এই যুগেও তারা যে আসলে ওইসব প্রাণীর মুখোশ পরে আছে সেটি ইঙ্গিত করায় তারা ক্ষুব্ধ!
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক’দিন আগে এরাই ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে নানা তুঘলকি প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিল। সেটি হালে পানি পায়নি। এরপর তারা ওঠেপড়ে লেগেছিল বাংলা নববর্ষের বিরুদ্ধে। বাংলা নববর্ষের ইতিহাস সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা যেমন শত শত বছরের অপপ্রচারভিত্তিক, সেটি তাদের জিনের সঙ্গে মিশে আছে। এরা মানুষের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি, প্রগতি এবং এগিয়ে চলার সব চিন্তা, চেতনা এবং মাধ্যমের বিরোধী শক্তি। আমাদের সমাজে এরা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেই এখনো টিকে আছে। সুতরাং সবারই উচিত হবে সভ্যতাকে জানা, বোঝা এবং ধারণ করা, তবেই এদের অবস্থান আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়