বেড়ানোর বাহানায় ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার দুই

আগের সংবাদ

মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

পরের সংবাদ

ঈদ-বৈশাখী উৎসব : মহম্মদপুরে দর্শনীয় স্থানগুলোতে এখনো পর্যটকদের ভিড়

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুরাদ হোসেন, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে : ঈদুল ফিতর ও বৈশাখী উৎসব শেষ হলেও এখনো মেতে আছেন ভ্রমণপিসাসু মানুষ। দীর্ঘ ছুটিতে যারা গ্রামের বাড়িতে গেছেন তারা এখনো দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এর ব্যতিক্রম নয় মহম্মদপুরের সব শ্রেণি পেশার মানুষ। উপজেলা সদরের দর্শনীয় স্থান উপজেলা পরিষদ, রাজা সীতারাম রায়ের কাচারি বাড়ী, শেখ হাসিনা সেতুসহ সেতুসংলগ্ন মধুমতির পাড়ে দেখা যায় নানা বয়সি মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
জানা গেছে, ঈদের দিন থেকে তৃতীয় দিন পর্যন্ত উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোতে হাজারো দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। ‘মুছে যাক গøানি ঘুচে যাক জরা, অগ্নি¯œানে শুচি হোক ধরা’ এই আহ্বানে চতুর্থ দিন রবিবারে যোগ হয় আরো একটি উৎসব। যা বাংলা বর্ষপুঞ্জির গণনার প্রথম দিন। বিশেষ করে মধুমতি নদীর দুই কূল যেন সমুদ্র সৈকতে পরিণত হয়েছে। এই দুই উৎসবে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেলে-মেয়ে, পরিবার ও আত্মীয়স্বজন নিয়ে ঘুরতে আসছে এই দর্শনীয় স্থানগুলোতে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া। সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলার নানা শ্রেণি পেশার হাজারো মানুষ ইজিবাইক, ভ্যান, পিকআপ গাড়িসহ বিভিন্ন গাড়িতে নানা ধরনের বাজনা বাজিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে। এছাড়া বিভিন্ন সালের এসএসসি ও এইচএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ঈদ পুনর্মিলনী পালন করছেন আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে। উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দাসহ জামাই-মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন এবং ঈদ উপলক্ষে ছুটিতে আসা নানা শ্রেণি পেশার মানুষের ঘোরাফেরার জন্য আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে উপজেলা পরিষদের মধ্যে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বর, রাজা সিতারাম রায়ের কাচারি বাড়ী, মধুমতি নদীর উপরে নির্মিত শেখ হাসিনা সেতু ও সেতুসংলগ্ন মধুমতি নদীর পাড় এবং ঘোপ বাঁওড়। ঈদের তিন দিনের তুলনায় বৈশাখের দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী ও লোহাগাড়া উপজেলা থেকেও পরিবার পরিজন নিয়ে এসেছেন অনেকেই। পার্শ্ববর্তী উপজেলা বোয়ালমারী থেকে পরিবার নিয়ে দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন কাজী ফিরোজ। তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্রিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই উপজেলাকে একটি বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়