বেড়ানোর বাহানায় ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার দুই

আগের সংবাদ

মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

পরের সংবাদ

অভিযোজন পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি যুক্ত করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (এনএপি) জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিও যুক্ত করা হবে। এনএপির ১১৩টি এজেন্ডার মধ্যে স্বাস্থ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এখন আমরা ভাবছি, এনএপিতে স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাসের জলবায়ু স্বাস্থ্য ও পরিবেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি ডা. ড্যানিয়েল নোভাকের সঙ্গে বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, সুইডিশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রোম।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে পরিবেশের একটা সম্পর্ক আছে। কাজেই এক দিকে উন্নয়ন, আরেক দিকে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য। আমাদের পক্ষে নতুন করে একটি এনএপি তৈরি করা সম্ভব নয়, দরকারও নেই। তবে বর্তমানে এনএপির যে কাঠামো আছে ও ১১৩টি এজেন্ডায় স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে আসতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাস অনেক দিন ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তারা আগেও তাদের কিছু সুপারিশ জানিয়েছে। কাজেই কীভাবে এ বিষয়টি নিয়ে সামনের দিকে কাজ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। তিনি বলেন, আমরা আলাদাভাবে স্বাস্থ্যের এনএপি করব না, তবে বর্তমানে যে এনএপি আছে, তাতে স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে যোগ করতে চাই। তাছাড়া সুইডেনের সঙ্গে আমাদের যে উন্নয়ন সম্পর্ক আছে, এই ক্ষেত্রটিকে ধরে সেটিকে আরো জোরদার করতে চাই।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করতে হবে। বন্যা, সাইক্লোন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, লবণাক্ততা ও খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি উঠে এসেছে। উপকূলীয় এলাকা ও নারীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব আছে। এতে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি চলে আসে। আমাদের উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা, সুপেয় পানির সংকট আছে, তারপর স্বাস্থ্যের বিষয়টিও চলে আসে। কপ টোয়েন্টি এইটে দুবাইয়ে স্বাস্থ্যের জন্য একটা দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশে এটার প্রভাব বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। সেটা আমরা কীভাবে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারি, সেটা দেখতে হবে। এদিকে গতকাল বিকালে ঢাকায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) ক্যাম্পাসে ‘জলবায়ু ন্যায়বিচারের উন্নয়ন : আদালত ও যুব সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক প্রয়াত প্রখ্যাত জলবায়ু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সালিমুল হক মেমোরিয়াল পাবলিক লেকচারে বক্তব্য রাখেন পরিবেশমন্ত্রী। অধ্যাপক ড. সালিমুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ নেয়ার সময়। অর্থপূর্ণ পরিবর্তনের জন্য আমাদের তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের তরুণদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করা এবং সরাসরি অভিজ্ঞতা অর্জন করা উচিত। সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্যতা নিশ্চিতে তরুণদের বিশেষ করে নারীদের সম্পৃক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং প্রয়াত অধ্যাপক ড. সালিমুল হকের ছেলে বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়