কবিতাসমগ্র

আগের সংবাদ

অন্তর্দ্বন্দ্ব ঠেকাতে কঠোর বার্তা

পরের সংবাদ

উদযাপিত হলো পবিত্র ঈদুল ফিতর : উৎসবের আমেজ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ¡াসের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব উদযাপন শুরু করেন। এক মাস সিয়াম সাধনার পর গত বৃহস্পতিবার সকালে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ছেলে-বুড়ো সবাই ঈদগাহ, মসজিদ ও খোলা মাঠে সামিয়ানার নিচে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদ জামাত শেষে দেড় হাজারের বছরের চিরায়ত ঐতিহ্য মেনে প্রায় সবাইকেই একে অন্যের সঙ্গে হাসিমুখে হাত মেলানো ও কোলাকুলি করতে দেখা যায়।
রাজধানীর হাইকোর্ট চত্বরের জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতারা, বিদেশি কূটনীতিক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ জামাতে অংশ নেন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন। নামাজ শেষে বাংলাদেশের শান্তি ও অগ্রগতি এবং জনগণ তথা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
ঈদের নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় নেতাকর্মী, বিভিন্ন পেশাজীবী, বিচারক, বিদেশি কূটনীতিক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চম ও সবশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল পৌনে ১১টায়। ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে রমজানের রোজা, তারাবিহ, কোরআন তেলাওয়াতসহ সব ইবাদত কবুলের জন্য আল্লাহর কাছে আর্তি জানানো হয়। মোনাজাতে গুনাহ মাফের জন্য চোখের জল ফেলার পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা ছাড়াও ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য দোয়া করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
এদিকে দিনাজপুর গোর এ শহীদ ঈদগাহ ময়দানে কয়েক লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তর ঈদের জামাত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ময়দানে দিনাজপুরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন। অন্যদিকে বরাবরের মতো এবারো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানে দেশের অন্যতম বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নেন আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কয়েক লাখ মুসল্লি।
এছাড়া দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের মসজিদেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এসব নামাজে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন স্তরের সরকারি বেসরকারি ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়