গজারিয়ায় পুকুর থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

আগের সংবাদ

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে অস্বস্তি

পরের সংবাদ

ভোগান্তি মেনেই ঘরে ফেরা : ঈদযাত্রা

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

** টার্মিনাল-স্টেশনে উপচে পড়া ভিড় ** সড়ক যানজটহীন, ফেরিঘাট ফাঁকা ** নৌপথেও স্বস্তি যাত্রা, যাত্রী অনেক **
দেব দুলাল মিত্র ও এন রায় রাজা : ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে সব পথে যাত্রীর ঢল নেমেছে। বেড়েছে যানবাহনের চাপ। ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের জয়দেবপুর চৌরাস্তা ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা মোড়ে মানুষের চাপ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। দুপুরের দিকে সব শিল্প-কারখানা ছুটির সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। চন্দ্রা মোড়ে বাস সংকটে পড়েছেন উত্তবঙ্গের যাত্রীরা। এখানে দুই কিলোমিটার সড়কজুড়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও স্বস্তিতেই ঈদযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও সোমবার যাত্রীর চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে যানবাহনের স্বাভাবিক গতি নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যরা সক্রিয় রয়েছেন। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রেলের যাত্রীরা বেশ স্বস্তিতেই ঢাকা ছেড়েছেন। ঠিক সময়ে ছাড়ছে ট্রেন। কোনো ধরনের শিডিউল বিপর্যয়ের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ ও মহাখালি বাস টার্মিনালে যাত্রীর ভিড় থাকলেও গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীর খড়া চলছে।
উত্তরের পথে ভোগান্তি : স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য ঘরের পানে ছুটছে মানুষ। গতকাল সোমবার দুপুরের পর থেকে উত্তরবঙ্গের সড়কে বেড়েছে যাত্রী ও গাড়ির চাপ। পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটতে গিয়ে বাস সংকটের কারণে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও আব্দুল্লাপুর-বাইপাইল সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ায় চলছে ধীর গতিতে। দুপুরের দিকে সাভার, গাজীপুর, আশুলিয়া, ইপিজেড, কালিয়াকৈর, টঙ্গী, কোনাবাড়ী, মৌচাক, সফিপুর এলাকার শত শত শিল্প-কারখানায় ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়। ছুটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে উপচে পড়া ভিড় সৃষ্টি হয়। সাভারের প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে, চন্দ্রা মোড়ে, টঙ্গি থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সব সড়কে ঘরমুখো মানুষের ভিড় হয়। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা মোড় থেকে খাড়াজোড়া এলাকা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে হাজার হাজার মানুষের ঢল দেখা গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীদের বাসের অপেক্ষায় থাকতে হয়। বিকালের দিকে মানুষের ভিড় আরো বাড়তে থাকে। বাস না পেয়ে কয়েকজন মিলে গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে রওয়ানা হয়েছেন। তবে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে স্বস্তি নিয়েই ঢাকা ছেড়েছেন লোকজন।
চন্দ্রা মোড়ে অপেক্ষামাণ রংপুরের যাত্রী মোশররফ হোসেন বলেন, গার্মেন্টস ছুটির পর সাড়ে ১২টা থেকে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু বাস পাচ্ছি না। এখন সোয়া একটা বাজল। রংপুর যাব, কিন্তু বাস পাচ্ছি না।
গাইবান্ধার যাত্রী কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, ৫০০ টাকার বাস ভাড়া ঈদ উপলক্ষে এক হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। অন্য উপায় না থাকায় এই ভাড়াতেই যেতে হচ্ছে।
তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকা থেকে সব যানবাহন পাড় হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজাতেও কোনো যানজট নেই। উত্তরবঙ্গগামী সব পরিবহন বিরতিহীন চলাচলের কারণে ভোগান্তি ও যানজট ছাড়াই বঙ্গবন্ধু সেতু পার হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ থেকে আসা ঢাকাগামী পরিবহনগুলোও স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটারের দুই লেনের সড়ক নিয়ে সবার দুশ্চিন্তা থাকলেও এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতুর এই সড়কে প্রবেশ করতে না দেয়ায় সোমবার

সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। এসব গাড়ি ভুঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে ঢাকা যাচ্ছে। বগুড়াগামী এসআর পরিবহনের চালক ইয়াকুব আলী জানান, এবার এই সড়কে কোনো যানজট না হওয়ায় গাড়ি স্বাভাবিক গতিতেই চলছে।
দিনাজপুরগামী হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার মোবারক জানান, কোথাও কোনো যানজট নেই। সেতুর টোলপ্লাজাতেও তেমন সময় লাগেনি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২ কোটি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ২৯ হাজার ৭৮০টি পরিবহন সেতু পার হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়ক : স্বস্তিতে ঢাকা ছেড়েছে চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ল²ীপুর, ফেনী, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গামাটির যাত্রী ও যানবাহন। এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ, গজারিয়া, মদনপুর অংশে কোনো যানজট না থাকায় ঘরমুখো মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যেই গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন। শিমরাইল মোড়ে আমিন নামের এক যাত্রী জানান, অন্য সময়ের চেয়ে এবার মহাসড়ক একেবারে ফাঁকা।
হানিফ পরিবহনের চালক সুমন মিয়া জানিয়েছেন, মহাসড়ক একেবারেই ফাঁকা থাকায় সায়েদাবাদ থেকে অল্প সময়েই শিমরাইল পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। চট্টগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ থাকায় কোথাও কোনো যানজট নেই।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও কোনো ধরনের যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা-মাওয়া এক্সেপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় ঈদযাত্রার আগে যানজটের আশঙ্কা করা হলেও গতকাল সোমবার পর্যন্ত কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
রাজধানীর বাস টার্মিনাল : রাজধানীর মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের ভিড়ের কারণে সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল এখন জমজমাট। যারা আগে থেকেই টিকেট কেটেছিলেন তারা এসেই বাসে উঠে চলে যাচ্ছেন। আর যারা টিকেট কাটেননি তাদের বাড়তি দামেই টিকেট কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহাখালি বাস টামিনালেও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যাত্রীদের নিয়ে বাসগুলো আসন পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টার্মিনাল ছেড়ে গেছে।
তবে যাত্রীর খরা ছিল এক সময়ের ব্যস্ততম গাবতলী বাস টার্মিনালে। দুপুর ১টার দিকেও টার্মিনালটিতে যাত্রীর চাপ দেখা যায়নি। বেশ কয়েকটি কাউন্টার বন্ধ দেখা গেছে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বাসগুলোর টিকেট কাউন্টারেও ভিড় দেখা যায়নি। কাউন্টারের লোকজন জানিয়েছেন, কয়েকটি পরিবহনের সব টিকেট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। যাত্রীরা এসেই রওয়ানা হচ্ছেন।
তবে গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীর আশায় বসে থাকতে দেখা গেছে দক্ষিণবঙ্গ ও পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার পরিবহনগুলোকে। বরিশালগামী সূর্যমুখী পবিহনের কর্মী আমিনুল জানান, সিট ফাঁকা রেখেই তাদের দুটি বাস ছেড়েছে। বেশির ভাগ যাত্রী সায়েদাবাদ থেকেই রওয়ানা হচ্ছেন।
সড়কে কঠোর নজরদারি : মহাসড়কে যানজট প্রতিরোধে সব মহাসড়কের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিপুলসংখ্যক হাইওয়ে ও থানা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো যানবাহন প্রধান সড়কে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। যানবাহন বিকল হলে দ্রুত সরিয়ে নিতে একাধিক রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে সাদা পোশাকে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ জানিয়েছেন, গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার পর উত্তরবঙ্গের পথে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বাস কাউন্টারগুলোর সামনে যাত্রীদের ভিড় হয়। তবে আশুলিয়ার কোথাও সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়নি। বেশির ভাগ পরিবহন সরাসরি লেন ব্যবহার করছে। পুরো সড়ক সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এবার ড্রোন দিয়ে সড়কের জটলা মনিটরিং করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
নৌপথ : ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। সকাল থেকে চাঁদপুরের লঞ্চগুলো এক ঘণ্টা পর পর যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে। দুপুর থেকে ছাড়তে শুরু করে অন্যান্য নৌরুটের লঞ্চগুলো। বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা রুটের লঞ্চ বিকাল থেকে ছাড়তে শুরু করে। বরিশাল রুটে বিলাসবহুল লঞ্চগুলো অনেকটাই ফাঁকা। আগে থেকে কেবিন বুকিং করে আসা যাত্রীরা নিবিঘেœই লঞ্চে উঠে জায়গা নিয়েছেন।
এদিকে বিকাল থেকে পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। গাদাগাদি করেই যাত্রীরা লঞ্চে উঠেছেন পদ্মা পাড়ি দিতে। এই ঘাট হয়ে কাটালাইনের যাত্রীরাই বেশি পার হচ্ছেন। তবে ফেরি পারাপারের জন্য যানবাহনের একেবারেই চাপ ছিল না। ফেরিগুলোকে আধ ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিটের বেশি সময় যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফেরি পারাপারের যানবাহনগুলো ঘাটে এসেই সরাসরি ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। তবে লঞ্চের যাত্রীদের ভিড় বেশি দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা ঘাটের কর্মকর্তা খালেদ নেওয়াজ জানান, সোমবার ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। একেবারেই যানবাহনের চাপ নেই। গাড়ির জন্য ফেরিগুলোকে বসে থাকতে হচ্ছে। আগে যাত্রীদের ঘাটে এসে ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হতো। তাই এবার যাত্রীরা কাটা লাইনে এসে লঞ্চে নদী পার হচ্ছে। ফলে যানবাহনের চাপ নেই।
রেল যাত্রায় স্বস্তি : লোকে লোকারণ্য কমলাপুর-বিমান বন্দর রেলস্টেশন। ঠিক সময়ে ট্রেন ছেড়েছে। ধরা পড়ছে নকল টিকেট। তারপরও ট্রেনের যাত্রীরা বেশ স্বস্তি নিয়েই ঢাকা ছেড়েছেন। ঘরে ফেরা মানুষের পদচারনায় মুখরিত কমলাপুর ও বিমান বন্দর স্টেশন। তবে বিগত দিনগুলোর চেয়ে গতকাল সোমবার কমলাপুর ছিল লোকে লোকারণ্য। এক একটি ট্রেন আসছে তো হুড়োহুড়ি করে ট্রেনে উঠে সিট খোঁজায় ব্যস্ততা দেখা যায় যাত্রীদের। তবে বিমানবন্দরে অধিকাংশ স্ট্যান্ডিং টিকেটের যাত্রী হওয়ায় সেখানে ট্রেনে উঠতে কিছুটা হুড়োহুড়ি দেখা গেছে। টঙ্গী ও বিমানবন্দর স্টেশনে অনেক যাত্রীকে ছাদে উঠে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
এদিকে প্রায় সবগুলো ট্রেন সময়মত ছেড়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৫টি ট্রেনের মধ্যে কয়েকটি ট্রেন এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। এদিকে তিন দফায় টিকেট চেকিং করেই তবে স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি মিলছে যাত্রীদের। সে কারণে বিনা টিকেটের যাত্রীরা কোনোভাবেই স্টেশন চত্বরে ঢুকতে পারেনি।
এদিকে গতকাল রাজধানীর কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি আসন নিজেদের বলে দাবি করেছেন চার যাত্রী। এতে তৈরি হয় বিপত্তি। গতকাল বেলা পৌনে ১১টায় কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায় ট্রেনটি। স্টেশন ছাড়ার আগে ট্রেনের ৯৬ ও ৯৭ নম্বর আসনের (নন-এসি) দাবিদার হয়ে ওঠেন চারজন।
চারজনই দাবি করেন, তারা অনলাইনে টিকেট কেটেছেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা তৈরি হয়। একপর্যায়ে দেখা যায়, দুজনের টিকেট বৈধ। অপর দুজনের টিকেট অবৈধ। দুজন মহিলা তারা বাইরে থেকে টিকেট কিনেছেন এবং অপর দুজন পুরুষ যাত্রী নিজেরাই অন লাইনে টিকেট কেনেন বলে জানান।
আসন নিয়ে যখন যাত্রীদের মধ্যে যখন হট্টগোল হচ্ছিল, তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। তিনি জানান, টিকেট পজ মেশিনে চেক করে দেখা যায় দুই মহিলার দাবি গ্রহণযোগ্য ছিল না, মহিলাদের টিকেট দুটি অবৈধ। পুরুষ দুজনের টিকেট বৈধ। কিন্তু তারা বলতে থাকেন, অনলাইন থেকেই টিকেট কেটেছিলাম।
একপর্যায়ে ট্রেন ছেড়ে দেয়। তখন এ দু মহিলা হুড়মুড় করে ট্রেনে উঠে পড়েন। তাদের ট্রেনের ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অপর দুজন নিজ নিজ আসনে বসেছিলেন। তিনি বলেন, ট্রেনে টিকেট যাচাইয়ের সময় এই দুই যাত্রীর জরিমানা হতে পারে।
মাসুদ সারওয়ার আরো বলেন, অনলাইন সিস্টেমে কোনোভাবেই এক টিকেট দুবার বিক্রির সুযোগ নেই। কিন্তু প্রতারক চক্র টিকেট এডিটিং করে বিক্রি করে। এ ব্যাপারে তারা আগে থেকেই সতর্ক করে আসছিলেন।
এদিকে গতকাল কমলাপুর ও বিমানবন্দরে র‌্যাবের ব্যাপক পর্যবেক্ষণ দেখা যায়। পরে র‌্যাব বিনা টিকেটের যাত্রী ও কালোবাজারিদের সাবধান করেন। আজ মঙ্গলবার যাত্রীর চাপ আরো বাড়বে বলে মনে করছে রেলওয়ে। এদিকে আজ চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ১০ এপ্রিলের টিকেট বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়