গজারিয়ায় পুকুর থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

আগের সংবাদ

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে অস্বস্তি

পরের সংবাদ

নিরাপত্তা রক্ষায় পাহাড়ে সাঁজোয়া যান মোতায়েন : যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৫৫

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবান প্রতিনিধি : কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের পর জড়িতদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে যৌথ বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় একের পর এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোনোভাবে যাতে পার্বত্য এলাকার নিরাপত্তা বিঘিœত না হয় সেজন্য মোতায়েন করা হয়েছে সাঁজোয়া যান। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে এই যান দিয়ে কিছু সময় পরপর টহল দেয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের সহযোগী এক চালকসহ কমপক্ষে ৫৫ জনকে। জব্দ করা হয়েছে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি সাদা রঙের ভলবো গাড়ি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই চালকের কাছ থেকে ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত অন্যদের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে কেএনএফের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভানুনুন নুয়ান বম (২৫), জেমিনিউ বম (২৪) আমে লনচেও বম (২৫) ও মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকার (২৮)। রোয়াংছড়ি ইউনিয়েনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জিংচুন নুং বমের ছেলে ভানুনুন এবং জেমিনিউ ও লনচে সম্পর্কে ভাইবোন। তারা থানচি সদরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের লাল মুম চম বমের সন্তান। গাড়িচালক কফিল উদ্দিন থানচি সদরের টিঅ্যান্ডটি পাড়ার বাসিন্দা মো. ইউসুফের ছেলে। গত রবিবার রাতে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের রেইচা চেকপোস্ট এলাকা থেকে তিনজন ও গতকাল সোমবার দুপুরে থানচির টিঅ্যান্ডটি পাড়া থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে কফিল থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত সাদা রংয়ের ভলভো গাড়ির চালক বলে জানায় পুলিশ। এছাড়া ব্যাংকে হামলা, টাকা ও অস্ত্র লুটের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুমার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রুমা সদর থেকে বাসে করে পুলিশের কড়া পাহাড়ায় বান্দরবান সদর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতে পঠানো হবে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সার্বিক নিরাপত্তায় নেয়া হচ্ছে নতুন নতুন পদক্ষেপ। এরই অংশ হিসেবে চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় বান্দরবানে আনা হয়েছে ৪টি বিশেষ সাঁজোয়া যান (এপিসি)। আর এই এপিসি দিয়ে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গতকাল সকাল থেকে কার্যক্রম শুরু করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার বেথেলপাড়ায় গতকাল যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযানে দুজন সক্রিয় কেএনএফ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এছাড়া সাতটি দেশি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, ল্যাপটপ, ইউনিফর্ম ও বুট উদ্ধার হয়েছে। এর আগে রবিবার বান্দরবানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) স্থানীয় প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
উল্লেখ্য গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা এবং থানচিতে ব্যাংকে হামলা, ডাকাতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে কেএনএফ। এ সময় উপস্থিত লোকজন ও ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০-১৫টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও লুট করা টাকা-অস্ত্র উদ্ধারে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়