মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ২০

আগের সংবাদ

ভোগান্তি মেনেই ঘরে ফেরা : ঈদযাত্রা

পরের সংবাদ

উৎসব গতি এনেছে চড়া দামের বাজারে

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মরিয়ম সেঁজুতি : পর পর দুটি উৎসব। প্রথমটি মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ। দ্বিতীয় উৎসবটি সব বাঙালির জন্য- পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ। মূলত মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে বিগত বছরে অর্থনৈতিক মন্দায় ডুবে ছিল দেশ-বিদেশ। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দা উপেক্ষা করে এবার ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ ঘিরে রয়েছে আনন্দের আমেজ। সপ্তাহের মধ্যে দুটি বড় উৎসব বৈশাখ ও ঈদের কেনাকাটায় অর্থনীতিতে প্রাণ ফিরেছে। ঈদ সামনে রেখে সদ্যবিদায়ী মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) এসেছে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এদিকে অভ্যন্তরীণ বেচাকেনায় গতি ফিরেছে অর্থনীতিতে। দুই উৎসব ঘিরে এবার ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎসবের অর্থনীতির সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। তবে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হিসাব বলছে, চলতি মাসেই অর্থনীতিতে অতিরিক্ত আরো এক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হবে। খাদ্যপণ্য, পোশাক, বিনোদন ও পরিবহন খাতে এই বাড়তি অর্থ যোগ হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবী, দোকান কর্মচারী, পোশাক ও বস্ত্র খাতের শ্রমিকসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মজীবীদের বোনাসও অর্থনীনৈতিক কর্মকাণ্ডে যোগ হবে। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমল পর্যন্ত বেড়েছে বেচাকেনা। কেনাকাটা বেড়েছে অনলাইনে। বিপুল লেনদের হয়েছে ইফতার বাজারেও। গ্রামেও টাকার প্রবাহ বাড়ছে। সবকিছু মিলে উৎসবে চাঙা হয়ে উঠছে অর্থনীতি। এবছর উৎসবকেন্দ্রিক প্রায় সব ধরনের কেনাকাটায় গড়ে ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ বা তার বেশি খরচ বাড়বে। দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ ব্যবসায়ীরাও। দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পহেলা বৈশাখ ও ঈদুল ফিতরে যেসব জিনিস বেশি বিক্রি হয়; তার প্রায় সব কিছুই বেশি দামে সংগ্রহ করতে হয়েছে।
ফ্যাশন হাউস সারা লাইফস্টাইলের মিডিয়া ও

জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক শেখ রাহাত অয়ন ভোরের কাগজকে বলেন, আগে বৈশাখী উৎসবের আমেজটা যেভাবে পাওয়া যেত, গত কয়েক বছর ধরে ঈদ ও বৈশাখ পাশাপাশি হওয়ায় সেই আমেজ পাওয়া যায় কম। করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক অস্থিরতা কটিয়ে এ বছর অনেক ভালো ব্যবসা হচ্ছে। শেষ শুক্রবার আমাদের বেচা বিক্রি অনেক ভালো হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের মোট বিক্রির প্রায় ৪০ শতাংশই হয় ঈদের এ সময়টাতে। গত বছরের তুলনায় ১৭ রমজানের পর তাদের বিক্রি বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবার শবেবরাতের পর থেকে কেনাকাটা করছেন নগরবাসী। আর এখন ঈদ সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের দম ফেলার সময় নেই। গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতারা কেনাকাটা করতে মার্কেটে আসছেন। ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা দেশের মার্কেট, বিপণি বিতান, ফ্যাশন হাউজ ও শোরুমগুলো। তবে এবার পোশাকসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম ১৫-৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে গত বছরের মতো বেচাবিক্রি ও কেনাকাটা সমান হলেও ক্রেতাদের বাড়তি টাকা খরচ করতে হয়েছে। ফলে এ বছর ঈদের ব্যয় বেড়েছে। বৈশ্বিক সংকটের এই সময় ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মানুষের সঞ্চয় কিছুটা কমতে পারে। এছাড়া ঈদ ও পহেলা বৈশাখের লম্বা ছুটির কারণে অর্থনীতিতে কিছুটা বাড়তি চাপ তৈরি হতে পারে। তবে ব্যবসায়ীরা ঈদের বেচাবিক্রি ও কেনাকাটা নিয়ে ইতোমধ্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে জোয়ার বইছে। শুধু মার্চ মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এছাড়া এপ্রিলের ৭ তারিখ পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ আরো বেড়েছে। প্রবাসীরা পরিবার আত্মীয়-স্বজনের কাছে এসব টাকা পাঠাচ্ছেন। এই অর্থের প্রায় পুরোটাই ব্যয় হবে ঈদের খরচ হিসেবে। এর সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি খাতের বেতন-বোনাস ঈদের কেনাকাটায় খরচ হবে। অনেকে বাড়তি কেনাকাটা করতে হাতে জমানো সঞ্চয় খরচ করছেন।
ঈদ ও পহেলা বৈশাখ ঘিরে কত টাকার লেনদেন হবে সে বিষয়ে কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্য সংগঠনের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। যদিও বেশ কয়েক বছর আগে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পাশাপাশি আরো কয়েকটি সংগঠন থেকে ঈদকেন্দ্রিক অর্থনীতির আকার ঘোষণা করা হয়। এতে দেখা যায়, ঈদকেন্দ্রিক অর্থনীতির আকার প্রায় ২ লাখ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। ঈদ অর্থনীতির একটি বড় চালিকাশক্তি হচ্ছে পোশাকের বাজার। এ সময় দোকানগুলোতে পোশাকের বেচাকেনা তিন থেকে চারগুণ বেড়ে যায়। এই তথ্য বেশ কয়েক বছর আগের। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাপদেশ ২০ কোটি মানুষের এক বিশাল বাজার। দিন দিন অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও ভোগ্য ব্যয় বাড়ছে। তাই ঈদ ও পহেলা বৈশাখ ঘিরে এবছর দুই লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হতে পারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ভোরের কাগজকে বলেন, এই ঈদে বেচাকেনা হতে পারে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার মতো। এ বিষয়ে তার কোনো গবেষণা নেই। দোকান সংখ্যা ও বেচাবিক্রির গতি দেখে তিনি অনুমান  নির্ভর  এই তথ্য দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে সঠিত তথ্য থাকা এবং উচ্চ পর্যায়ে একটি গবেষণা হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
জানা গেছে, পবিত্র রমজান শেষে আনন্দ, ঐক্য ও উদারতার প্রতীক হিসেবে উদযাপিত ঈদকে ঘিরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে। উপহার, দান-খয়রাত দেখা যায় পুরোদমে। ঈদকে সামনে রেখে দাতব্য কাজে সহায়তা করা হয়; যাতে দরিদ্ররাও উৎসবে অংশ নিতে পারেন। দোকান মালিক সমিতির হিসাব অনুসারে, প্রায় ৪৯৫ কোটি টাকা ফিতরা হিসেবে দেয়া হয়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে প্রায় চার-পাঁচ কোটি মানুষ যাতায়াত করেন। পরিবহন খাত সবচেয়ে ব্যস্ত সময় কাটায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ঈদ সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স আসছে। আর এতে করে বাড়ছে রিজার্ভ। এছাড়া, ঈদকে সামনে রেখে বহু মানুষের অস্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ তৈরি হয়। মৌচাক মার্কেট মোড়ে বাটা জুতার দোকানের ব্যবস্থাপক কবির জানান, চলতি মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত ২৮ জন বিক্রয় সহকারী নেয়া হয়েছে। ঈদে বিপুল পরিমাণে নগদ লেনদেন হয়ে থাকে। এটি অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনে। মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) অবদান রাখে। প্রায় সব ব্যবসায় ভালো বিক্রি হয়। অনেকে ঘর সাজাতে এবং উপহার দিতে জামা-কাপড়, গহনা, আসবাবপত্র ও অন্যান্য পণ্য কেনেন। উৎসবে মিষ্টি ও মজাদার খাবার থাকে।
দোকান মালিক সমিতির জরিপে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে একটি পোশাক ব্র্যান্ডের দৈনিক বিক্রি গড়ে তিনগুণ বেড়ে যায়। বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয় লিমিটেডের (মিল্ক ভিটা) বিপণন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মাহফুজুল হক বলেন, ঈদে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দুধ বিক্রি দ্বিগুণ হয়। মিষ্টি, টক দই ও মিষ্টি দইয়ের বিক্রিও বেড়ে যায়। ঈদের আগে সুগন্ধি চাল, মুরগি, গরু-খাসির মাংস, তেল ও মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। এছাড়া অলংকার, টিভি, ফ্রিজ, এসি ও ফার্নিচার সামগ্রীর চাহিদা বেড়ে যায় এই সময়ে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উৎসব ঘিরে বিভিন্ন খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থ ঘনঘন হাতবদল হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকন্ড যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে সরকারের রাজস্ব আয়। তাদের মতে, অর্থনীতিতে চাহিদা বেড়েছে। এর সঙ্গে সরবরাহ ঠিক রাখতে না পারলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে।
ঈদ ও রোজার বাড়তি খরচ মেটাতে কৃষকের ঘরে মজুত ধান বা অন্যান্য ফসলের একটি অংশ বিক্রি শুরু হয়েছে। তরমুজের মতো মৌসুমি ফলের ব্যবসাও জমে উঠেছে। এছাড়াও অর্থবছর শেষ হয়ে আসায় সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ খরচ করার ধুম পড়েছে। ফলে সবকিছু মিলে টাকার ¯্রােত এবার গ্রাামের দিকে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ টাকার বড় অংশই যাচ্ছে ভোগ-বিলাসে। আর কিছু অংশ যাচ্ছে গ্রামের বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পভিত্তিক উৎপাদন খাতে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থার (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. এম কে মুজেরী ভোরের কাগজকে বলেন, উৎসব ঘিরে অর্থনীতির আকার, ধরন ও ব্যাপ্তি আগের  চেয়ে বেড়ে গেছে। মানুষ এ উৎসব ঘিরে প্রচুর পরিমাণ অর্থ খরচ করে। এতে উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, ব্যবসায়ী-প্রত্যেকে কিছু না কিছু লাভবান হচ্ছেন। সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তবে মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা রয়েছে। বাড়তি টাকার প্রবাহের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। এতে কিছু মানুষের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ঈদে সব ধরনের নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো  ভোজ্যতেল, মাংস, চিনি, ডাল, সেমাই ও পেঁয়াজ। ফলে এসব পণ্যের আমদানিও বাড়ে। রোজা ও ঈদে  ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় তিন লাখ টন, চিনি দুই লাখ থেকে পৌনে তিন লাখ টন, ডাল ৬০ থেকে ৭০ হাজার টন, ছোলা ৫০-৬০ হাজার টন, খেজুর ১৫ হাজার টন, পেঁয়াজ ৩ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ টন এবং রসুনের চাহিদা প্রায় ৮০ হাজার টন। এসব পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের নিজস্ব টাকার পাশাপাশি ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের জোগান দেয়া হয়। ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী অষ্টম বেতন কাঠামোর আলোকে ঈদ  বোনাস পাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে তিন বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এছাড়া বেসরকারি অফিস-প্রতিষ্ঠানগুলোও নিজস্ব কাঠামোতে বোনাস দিচ্ছে। এছাড়া পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রায় ৭০ লাখকর্মীর বোনাসও রয়েছে, যা পুরোটাই যোগ হচ্ছে ঈদ অর্থনীতিতে।
ঈদ উৎসব অর্থনীতিতে সারাদেশের দোকান কর্মচারীদের বোনাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির হিসাবে দেশে ২৫ লাখ দোকান, শপিংমল, বাণিজ্য বিতান রয়েছে। গড়ে একটি দোকানে তিনজন করে ৬০ লাখ জনবল কাজ করছে। একজন কর্মীকে ৬ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা করে বোনাস দেয়া হয়। যা পুরোটাই ঈদ উৎসব অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে। তৃতীয় উৎসবের মধ্যে রয়েছে পহেলা বৈশাখ। বাঙালির সর্বজনীন উৎসব এটি। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে এই একটি দিনে সবাই এই উৎসবে অংশ নেয়। বৈশাখের অর্থনীতির সুনির্দিষ্ট আকার নিয়ে এখনো প্রাতিষ্ঠানিক কোনো গবেষণা হয়নি। তবে সূত্রের হিসাবে লেনদেনের সম্ভাব্য পরিমাণ হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়