ডায়েট ভুলে জমিয়ে খান নুসরাত

আগের সংবাদ

অভিযানে কোণঠাসা কেএনএফ

পরের সংবাদ

পণ্যের দাম বেশি : মেহেরপুরে গরিবের মার্কেটে মধ্যবিত্তের ভিড়

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মর্তুজা ফারুক রুপক, মেহেরপুর থেকে : ঈদের বাকি আছে মাত্র কয়েকদিন। আর ঈদ সামনে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা বেশ জমে উঠেছে মেহেরপুরের শপিং মার্কেটগুলো। সুপার সপ ও বিভিন্ন শপিং সেন্টারের পাশাপাশি রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে বেড়েছে ভিড়। সাবই যার যার সাধ্যমতো কেনাকাটা করছে। তবে শপিংমলগুলোতে দাম বেশি হওয়ায় অনেকে ছুটছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিক্রি বেড়েছে রাস্তার পাশের এই দোকানগুলোতে। নি¤œবিত্তদের মার্কেট হিসেবে পরিচিত মেহেরপুরের গুরুর হাটের পাশে অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা মার্কেটটি এখন জমে উঠেছে। দাম কম হওয়ায় নি¤œবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরাও ছুটছে সেই মার্কেটে। পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, শাড়ি, লুঙ্গিসহ বিভিন্ন পোশাক তুলনামূলক কম দামে মিলছে সেখানে। এরকম অস্থায়ী মার্কেট গড়ে উঠেছে মেহেরপুরের গো-হাটসংলগ্ন এরিয়ায়, কোর্ট মোড়সংলগ্ন এরিয়ায়, কাশারি বাজার এরিয়ায়, পৌরসভা কার্যালয় এরিয়ায়।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশ দিয়ে ছোট ছাউনি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পোশাক। যেখানে পাঞ্জাবি মিলছে ৩০০-৬০০ টাকায়, থ্রি-পিস পাওয়া যাচ্ছে ৫০০-৮০০ টাকায়, এছাড়া কম দামে মিলছে জিন্স প্যান্ট ও বিভিন্ন রঙের শার্ট। এসব দোকানে দিনমজুর থেকে শুরু করে বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, প্রাইভেট কোম্পানির সেলসম্যানরা তাদের পরিবার নিয়ে পোশাক কিনছে।
একটি বেসরকারি স্কুলের একজন শিক্ষক জানান, বাজার মনিটরিং নেই, বড় বড় দোকনগুলো ইচ্ছামতো দাম হাঁকাচ্ছে। তাছাড়া আমাদের যা বেতন-বোনাস তাতে বড় দোকানে যাওয়ার উপায় নেই।
ফারুক হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, পরিবারের সবার মনে আনন্দ দিতে এই মার্কেটে আসা। এই মার্কেটে বেশ ভালো পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। দামও কম। আমাদের জন্য এটিই পারফেক্ট মার্কেট। সনাতন ধর্মের একজন জানান, বাড়ির পাশে সবাই মুসলমান। সেখানে তারা ঈদের বিভিন্ন কেনাকাটা করছে। তাই আমার পরিবারের সদস্যরা যাতে মন খারাপ না করে সেজন্য ছেলেমেয়ের জন্য পোশাক কিনতে এসেছি। প্রথমে বড় বড় দোকানগুলো ঘুরে দেখেছি। অনেক দাম। তাই ফুটপাতের দোকনগুলো দেখছি। পছন্দ হলে কিনব।
মেহেরপুরসহ ঢাকা থেকেও এখানে এসে দোকন খুলেছে অনেকে।
সারিহিন নামের সাভারের এক ব্যবসায়ী মেহেরপুরের কাশারি পাড়া এলাকায় পাঞ্জাবির দোকান খুলে বসেছেন। তিনি জানান, যে কোনো পাঞ্জাবি ৬০০ টাকায় দিচ্ছি। প্রতিদিন প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকার বেচাকেনা করছি। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আমাদের পাঞ্জাবি কিনছে। দিনের বেলা প্রচুর রোদের তাপ, তাই বিকালে ও সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় থাকছে। গো-হাটসংলগ্ন এরিয়ার মোস্তাক আহম্মেদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে তত বেশি মানুষের আনাগোনা ও বেচাকেনা বাড়ছে। ছোট-বড় সবার পোশক কম দামে বিক্রি করায় নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা আসছে পোশাক কিনতে।
ঈদ পর্যন্ত এখনো প্রায় আড়াই লাখ টাকার বেচাকেনা হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়