ডায়েট ভুলে জমিয়ে খান নুসরাত

আগের সংবাদ

অভিযানে কোণঠাসা কেএনএফ

পরের সংবাদ

কুকি-চিনের পেছনে কে?

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : একসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে শুরু করা ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ ২০২২ সালের শেষ দিকে বেশ সক্রিয় ছিল ফেসবুকে। তখন ফেসবুকে ও ইউটিউব পোস্টে কেএনএফ তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ ছাড়াও শুরু থেকেই সরকার ও জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিত। পাহাড়ে জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’কে মদত দিয়ে আলোচনায় আসার পর সাঁড়াশি অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এরপর থেকে একের পর এক অপহরণ, ডাকাতি, লুট, চাঁদাবাজি ও খুনের ঘটনায় নিজেদের শক্তির জানান দিতে থাকে কেএনএফ। সবশেষ দুই দিনের মধ্যে বান্দরবানের তিন উপজেলায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা, ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও নিরাপত্তা চৌকিতে হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো পাহাড়ি জনপদ। প্রশ্ন উঠছে, ক্ষুদ্র একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করা সংগঠন হুট করে এত শক্তি সঞ্চয় করল কীভাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিজেদের সক্ষমতার জানান দিতে এ এসব ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে কুকি-চিন। এর পেছনে কেএনএফ এর সঙ্গে জঙ্গিদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা, ভারতের মিজোরামের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও মিয়ানমারের কুকিদের যোগসূত্র থেকে থাকতে পারে। কেননা, কেএনএফ এর মূল কেন্দ্র হলো বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারের সীমান্ত ট্রায়াঙ্গল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদও ইঙ্গিত দিয়েছেন, কেএনএফের সঙ্গে পাশের দেশের সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ আছে। অস্ত্রের যোগানও সেখান থেকে এসে থাকতে পারে। যদিও এসবের নির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ এখন পর্যন্ত উপস্থাপিত হয়নি। এমনকি কুকি-চিনের প্রতিষ্ঠাতা নাথান বম এখন কোথায় আছেন; সেটিরও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। এরই মধ্যে পাহাড়ে থমথমে অবস্থার মধ্যে আবারো নতুন করে নিজেদের ফেসবুক পেজে যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে শান্তি আলোচনার শর্ত ভঙ্গের বিবৃতি দিয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটি। পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু শর্তের ভিত্তিতে আবারো শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাবও দিয়ে রেখেছে কুকি-চিন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নাথান বম পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যার বিচারে পঞ্চম বম জনগোষ্ঠীর সদস্য। এই জাতিগোষ্ঠীর প্রায় সবাই খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী। বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার এডেনপাড়া সড়কে নাথানের পৈতৃক নিবাস। পারিবারিক অবস্থা খুব ভালো ছিল না কখনোই। তারপরও এই পরিবার এবং জনসংখ্যায় কম একটি জাতিগোষ্ঠীর

ভেতর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পড়ার সুযোগ পাওয়ায় এলাকার অনেককেই গর্ব বোধ করত।
তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় স্নাতক হন। ইউরোপের কয়েকটি দেশেও গেছেন। বন্ধুদের কাছে দাবি করতেন, ইংল্যান্ড থেকে তিনি চারুকলায় ডিপ্লোমাও নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করার পর আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাতে ক্ষোভ জন্মে। ইংরেজি ভাষায় বইও লিখেছিলেন। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেটাও লাভজনক হয়নি। একসময় একটি এনজিও করেন। এরই মধ্যে নানা মহলের সহযোগিতা নিয়ে সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন। সেই সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এখন পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কাছে বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে।
নাথানের এলাকার অধিবাসী, সম্পর্কে নাথানের চাচা হন, এমন একজন বলছিলেন, নাথান যে এত ভয়ানক একটা অবস্থানে চলে যাবে সেটা কখনো ভাবিনি। তার কিছু কর্মকাণ্ড উদ্ভট লাগত। শুনতাম এলাকার যুবকদের একত্র করে সে দল পাকাচ্ছে। শুরুতে খুব একটা পাত্তা দিইনি। কিন্তু যখন তার গতিবিধি একটু সন্দেহজনক মনে হলো, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে অনুরোধ করেছিলাম, এই পথে না যাওয়ার জন্য। কিন্তু সে বড় ধরনের অর্থের লোভ পেয়েছিল। সেটাই তাকে শেষ করে দিল। এখন তার জন্য পুরো বম জাতির মানুষ একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
নাথান বম ছাত্রজীবনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত হন। জেএসএস সমর্থিত এই ছাত্র সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাও ছিলেন। এর পাশাপাশি নিজের শিল্পকর্ম নিয়ে থাকতেন। বান্দরবানের চেঙ্গি স্কোয়ারে জেএসএসের প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার আবক্ষ মূর্তি মুন্নি দেওয়ানের সঙ্গে তৈরি করেন নাথান বম। তবে একপর্যায়ে জেএসসের সঙ্গও ছাড়েন তিনি। এরপর যখন এলাকায় ফিরে যান, তখন পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন করে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর নেতৃত্বে ছিল জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি। নাথান সেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য বেশ তদবির করেছিলেন। কিন্তু এই কাজ তিনি পাননি। এটা তাকে বেশ ক্ষুব্ধ করে। নাথানের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু বলছিলেন, কয়েকজন চাকমা যুবক ওই চাকরি পেয়েছিলেন। নাথান মনে করতেন, তার জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা কম বলে চাকরিটা তাকে দেয়া হয়নি। চাকমারা সংখ্যায় বেশি, সে জন্য তারা সুযোগ পেয়েছে। এ জন্য নাথান চাকমাদের ওপর কিছুটা বিদ্বেষী হয়ে ওঠেন।
এডেন পাড়ায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) নামের একটি বেসরকারি সংগঠনেরও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নাথান বম। এই প্রতিষ্ঠানের অর্থের উৎস নিয়ে অনেকেরই ঔৎসুক্য থাকলেও তার রহস্য কখনো উন্মোচন করা যায়নি। নাথান সেই সময় তার জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে একত্রিত করার জন্য নানারকম ভাবনা ভাবতে থাকেন। এ সময় ‘জো’ নামে ইংরেজি ভাষায় একটা বইও লিখে ফেলেন। এর দাম ৩০০ টাকা ছিল। এই সংগঠনটির আড়ালে তলে তলে নাথানকর্মী সংগ্রহ করতেন বলে স্থানীয়রা মনে করেন। নাথান অর্থের হাতছানি পেয়েছিলেন কোনো গোষ্ঠীর কাছ থেকে। ২০১৮ সালে তিনি নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মনোনয়নপত্র বৈধ হয়নি। নাথানের আর নির্বাচনও করা হয়নি। তবে সশস্ত্র আন্দোলন করার প্রচেষ্টা তখন থেকেই চলছিল।
২০১৮ সালের শেষদিকে নাথানসহ বেশ কয়েকজন মিয়ানমারের চিন রাজ্যে গিয়ে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেন বলে জনশ্রæতি রয়েছে। এরপর তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর নাথানের কর্মকাণ্ড অনেকের চোখেই সন্দেহের সৃষ্টি করে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তার কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে নাথান এবং তার সহযোগীরা এক ধর্মীয় পাস্তরকে তাদের সেই এনজিওর অফিসে তুলে বেধড়ক মারধর করে। আহত অবস্থায় তাকে ফেলে দেয়া হয়। এর পর পরই নাথান এলাকা ত্যাগ করেন। তিনি মিয়ানমারে এবং ভারতের মিজোরামে প্রায়ই যাতায়াত করতেন বলে অনেকে জানান।
২০১৮ সালের শেষদিকে নাথানসহ বেশ কয়েকজন মিয়ানমারের চিন রাজ্যে গিয়ে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেন বলে জনশ্রæতি রয়েছে। এরপর তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর নাথানের কর্মকাণ্ড অনেকের চোখেই সন্দেহের সৃষ্টি করে। নাথানের দল কেএনএফের প্রচারের একটা বড় অংশ ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল জেএসএস এবং চাকমাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক অবস্থান নেয়া। অনেকেই মনে করেন, জেএসসের বিরুদ্ধে একটা সশস্ত্র দলের অবস্থান পার্বত্য চট্টগ্রামের হোক, এটা যারা চাইতেন, তারাই নাথানকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।
২০২২ সালের দিকে ফেসবুকে একটি আলাদা রাজ্য গঠনের ঘোষণা, সশস্ত্র দলের নানা ছবি দিয়ে কেনএফের কর্মকাণ্ড জাহির করলেও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে উঠলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিলে একটি শান্তি কমিটিও তৈরি করেন।
এই শান্তি কমিটির সঙ্গে ইতোমধ্যে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে কেএনএফের। সর্বশেষ বৈঠক হয় গত ৫ মার্চ। সেখানকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ২২ এপ্রিল। কিন্তু তার আগেই একাধিক ব্যাংকে হামলা, থানায় হামলাসহ নানা কর্মকাণ্ড শুরু করে দেয় কেএনএফ। নাথানের এই তৎপরতার ফলে শান্তি প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের সরে আসার কথা জানান শান্তি কমিটির নেতারা। যদিও গতকাল বান্দরবান সার্কিট হাউজে জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার। তাই জনগণ যদি চায় কুকি-চিনের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি আলোচনা করা হবে। তবে কোনো অবস্থায়ই আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে দেয়া যাবে না। মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর কুকি-চিন জানিয়েছে, সরকার যদি আলোচনার জন্য সদিচ্ছা প্রকাশ করে তাহলে আমরা প্রস্তুত। তবে তা অবশ্যই হতে হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব পর্যায়ের সঙ্গে। থাকতে হবে দেশের উচ্চ মহলের প্রতিনিধিদেরও। এতে নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ বিদেশি সহযোগিতা নিয়ে ব্যাংক লুট, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, তাদের সঙ্গে আশেপাশের দেশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে। পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে। আপনারা দেখছেন, তাদের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
এদিকে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় বেলা ১১টায় রুমা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, আনসার ব্যারাক, সোনালী ব্যাংক ও মসজিদ পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় বান্দরবান সদরের সার্কিট হাউসে জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিকসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন মন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা, সাবেক মন্ত্রী ও বান্দরবান আসনের এমপি বীর বাহাদুর উশৈসিং, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিজিবিপ্রধান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) মাহাবুবুর রহমান, আনসার-ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার মেহেদি হাসান, বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা একসময় খুব শান্তিপ্রিয় ছিল। কিন্তু স¤প্রতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের মতো বড় ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে। এর আগেও এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে। এসব কার্যক্রম আমরা আন-চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেব না। এদের পেছনে কোনো ইন্ধন আছে কিনা তা বের করে আনা হবে। ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাংক ডাকাতির মতো এ ঘটনায় কোনো সংস্থার দায়িত্ব পালনে ঘাটতি বা গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্রের দাবি ২০২২ সালে পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পর থেকে কেএনএফ বড় ধরনের অর্থ সংকটে পড়ে যায়। সে কারণেই সংগঠনটির একটি অংশ ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা করে থাকতে পারে। তা না হলে অন্য কোনো বিষয়ে অসন্তোষ থাকলে সেটি কেএনএফ এর দিক থেকে আগামী ২২ এপ্রিল তৃতীয় সরাসরি শান্তি আলোচনায় তুলে ধরার সুযোগ ছিল। যদি টাকা উপার্জনই উদ্দেশে হয়ে থাকে, তাহলে আরো অপকর্ম ঘটাতে পারে। যদিও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেন, পাহাড়ে যৌথ অভিযান চলছে, দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়