ডায়েট ভুলে জমিয়ে খান নুসরাত

আগের সংবাদ

অভিযানে কোণঠাসা কেএনএফ

পরের সংবাদ

কমলাপুরে ভিড় বাড়ছে মানুষের : ট্রেনের আসা-যাওয়ায় বিলম্ব, যাত্রী ভোগান্তি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঈদকে সামনে রেখে ২৪ ঘণ্টাই নাড়ির টানে ঘরমুখী মানুষের পদচারণায় মুখর রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন। প্রথম তিন দিনের চেয়ে গতকাল শনিবার ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে ভিড় অনেকটাই বেড়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২১-২২টি ট্রেন সময়মতো ছাড়লেও ৭-৮টি ট্রেন ৩০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অপেক্ষায় থাকা সংশ্লিষ্ট ট্রেনের যাত্রীরা।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটির গতকাল বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। যদিও ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে বেলা ৩টার দিকে ট্রেনটি ছেড়ে গেছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার পর ইঞ্জিনের কিছু কাজ করাতে হয়েছে বলে ট্রেনটি দেরিতে ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার। তিনি জানান, রেলপথে ঈদযাত্রার প্রথমদিকে ঘরমুখী মানুষকে খুব একটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। বেশির ভাগ ট্রেন ছেড়ে গেছে নির্ধারিত সময়ে। তবে দূরদূরান্ত থেকে ট্রেন আসার পর সেটি পরিষ্কার করা এবং ইঞ্জিন পরীক্ষার জন্য কিছুটা সময় লাগছে। যার ফলে কিছু কিছু ট্রেন ২৫-৩০ মিনিট দেরিতে ছাড়ছে।
স্টেশনে অপেক্ষমাণ চট্টলা এক্সপ্রেস পরিদর্শন করে দেখা যায়, আসনে বসে যাত্রীরা গরমে হাঁসফাঁস করছেন। মাথার ওপর ফ্যান চললেও অনেকে হাতপাখা দিয়ে গরম সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন। নারী ও শিশুরা বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। গত তিন দিনের তুলনায় গতকাল যাত্রীর চাপও ছিল বেশি।
ঢাকা রেলস্টেশন সূত্র জানিয়েছে, গতকাল পৌনে দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সেপ্রেস। ট্রেনটি সকাল ৬টায় কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছেড়েছে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে।
সাধারণত কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন ৪২টি আন্তঃনগর এবং ২৫টি লোকাল মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে। ঈদ উপলক্ষে আটটি বিশেষ ট্রেন রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল কমলাপুর থেকে তিনটি ট্রেন ছেড়ে গেছে। আজ এবং আগামীকাল আরো তিনটি করে স্পেশাল ট্রেন ঢাকা ছেড়ে যাবে।
এদিকে আগের তিন দিনের মতো গতকালও তিন স্তরে টিকেট চেকিং করে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে যাত্রীদের। বিশেষ স্কাউট টিমকে বেশি তৎপর দেখা গেছে। স্কুল ও কলেজের একদল ছেলেমেয়ে যাত্রীদের সুশৃঙ্খলভাবে স্টেশনে প্রবেশে সহায়তা করছে। ভেতরে পুলিশ ও আরএনবি সদস্যরা যাত্রীদের কোচ ও সিট খুঁজে দিতে সহায়তা করছেন। টিকেট ছাড়া কাউকে ট্রেন উঠতে বাধা দিচ্ছেন তারা।
এদিকে গতকালও কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে যান রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী। বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত স্টেশনে অবস্থান করে ট্রেন চলাচল তদারকি করেন তিনি। এ সময় ডিআরএম শফিকুর রহমান, ডিসিও শাহ আলম কিরণ শিশিরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন। মহাপরিচালক যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ ও ট্রেনে ওঠা, স্টেশনের নিরপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা বলেন। এছাড়া স্টেশনে সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়