আজকের খেলা

আগের সংবাদ

পাহাড়ে সন্ত্রাস নির্মূল হোক

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে মাছ মাংসের দাম চড়া

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৬, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : ঈদকে ঘিরে ক্রেতার চাহিদা বাড়ার অজুহাতে বাজারে মুরগি, মাছ ও গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। তবে সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
ঈদকে ঘিরে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৬৪ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু কোথাও সরকার নির্ধারিত দরে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি সাইজভেদে ২৩০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৬২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ থেকে ২৫ টাকা বেশি। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কোনো কোনো বাজারে হাড়যুক্ত গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতেও দেখা গেছে, যা এক মাস আগেও ৭০০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে। এই দর সরকার-নির্ধারিত দরের চেয়ে অনেক বেশি। গরুর মাংস বিক্রেতারা জানালেন, বাজারে গরুর সংকট থাকায় দাম বাড়িয়েছে গরু ব্যবসায়ীরা। যার ফলে মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না।
এদিকে, আরো চড়া হয়েছে মাছের বাজারও। বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে প্রতি কেজি রুই মাছ সাইজভেদে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ দুটি মাছ দুই সপ্তাহ আগেও সর্বোচ্চ ৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। তাছাড়া চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, চাষের কই মাছ ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক মাসের মধ্যে প্রত্যেক মাছে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সমুদ্রের মাছের যোগান সংকট ও চাষের মাছের সরবরাহ কমাতেই দামে এই উর্ধ্বগতি। ঈদের আগে আরো দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল শুক্রবার নগরীর অন্যতম রেয়াজউদ্দিন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, টমেটো ৩৫ টাকা, মূলা ২৫ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, ঢেড়শ ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, সজনে ১২০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া, লাউ ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ টিসিবি বাজারে আসার কারণে গত দুই দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। টিসিবি বাজারে ৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৫৫ টাকায়। বাজারে আমদানিকৃত আদা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। স্থিতিতে রয়েছে রসুনের বাজার। নতুন দেশি রসুন ১৪০ টাকা, চায়না রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা। গতকাল বাজারে ফার্মের লাল ডিম ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হয়। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন, ভারতের পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম আরো কমবে। তাছাড়া দেশি পেঁয়াজও বাজারে পর্যাপ্ত রয়েছে। যার ফলে দাম বাড়ার আর সম্ভাবনা তেমন দেখছেন না বলে জানান পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়