সাবের হোসেন চৌধুরী : বনের জমি দখলে সরকারি প্রতিষ্ঠানকেও ছাড় নয়, বন কর্মকর্তার খুনিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে

আগের সংবাদ

সর্বাত্মক অভিযানে যৌথবাহিনী

পরের সংবাদ

মাগুরায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দীপক চক্রবর্তী, মাগুরা থেকে : ঈদকে সামনে রেখে শহরের মার্কেটগুলোসহ ৪ উপজেলার হাট-বাজারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের কেনাকাটার ধুম পড়েছে। ১৫ রমজানের পর পরই ক্রেতারা ছুটছেন পছন্দের পোশাক কিনতে বিভিন্ন দোকানে। ইতোমধ্যে শহরের বেবি প্লাজা, নুরজাহান প্লাজা, সুপার মার্কেট, জমজম মার্কেট, মরিয়ম প্লাজা, সমবায় মার্কেট, কাজী টাওয়ার, খন্দকার প্লাজায় সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পোশাক বিক্রি হতে দেখা গেছে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মার্কেটগুলোতে বেশি ভিড় লক্ষ করা গেছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা দেখা গেছে, মাগুরা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার মার্কেটে ঈদের পোশাক কিনতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে দর্জি ও টেইলার্সগুলোতে বেশি ভিড় লক্ষ করা গেছে। এবার ঈদে সোনামনিদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে আফগানি সালোয়ার কামিজ। কুচিওয়ালা তোলা ঝুলঝুলে সালোয়ারের কারণে মূলত এই ড্রেসের নাম দেয়া হয়েছে আফগানি পোশাক। তাছাড়া মেয়েদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে নয়রা, সারারা, টিসু, গাইন ও বুটিকের কাজ করা পোশাকগুলো বেশি চলছে বলে দোকানিরা জানান।
শহরের হাজীপুর কমপ্লেক্সের দোয়েল ফেব্রিক্স অ্যান্ড টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আলাউদ্দিন জানান, ঈদকে সামনে রেখে এখন আমরা খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। ১০ রমজানের পর থেকেই আমাদের টেইলার্সের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। ২৫ রমজানের পর আমরা আর অর্ডার নেব না। তিনি আরো জানান, এবারের ঈদে দেশি থ্রি-পিস মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। তরুণীদের পাশাপাশি এখন অনেক নারীও থ্রি-পিস পরছেন। সুতি থ্রি-পিস, বুটিশ থ্রি-পিস, জজেট থ্রি-পিস ও ঘেরওয়ালা থ্রি-পিস ভালো চলছে। দেশি থ্রি-পিস সুতি ৭শ থেকে ১৫শ টাকার মধ্যে রয়েছে। ছোয়া থ্রি-পিস ১ হাজার থেকে ২২, অন্যান্য থ্রি-পিস ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ইন্ডিয়ার ভিপুন তরুণীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। ভিপুর ৩-৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বারিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে, ভিনাই সুতি থ্রি-পিস ২-৩ হাজার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
শালিখা উপজেলা সদর আড়পাড়া বাজারের রায় বস্ত্রালয়ের মালিক সুজিৎ রায় জানান, এবারের ঈদে দেশি শাড়ির পাশাপশি, ইন্ডিয়ার শাড়ির কদর রয়েছে। তাছাড়া সুতি, কাতান, ঢাকার জামদানি শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে। অনেক নারীরা আবার পছন্দ করছেন সুতি জামদানি, হাফসি ও জুট জামদানি। ঈদকে সামনে রেখে শহরের মার্কেটগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতের ছোট ছোট দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। সকাল থেকে রাত অবদি এ দোকানগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ভিড় করছেন তাদের সন্তাদের প্রিয় পোশাকটি কিনতে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়