কাগজ প্রতিবেদক : বন ও পরিবেশের জমি রক্ষার বিষয়ে জিরো টলারেন্সের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, একটা কথা আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই- কে কী করল, কার কী পরিচয়, কোন কোম্পানি- এগুলো আমাদের দেখার বিষয় নয়। অনেকে আমাকে বলে, অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি এক্ষেত্রে জড়িত থাকতে পারে। তবে ব্যক্তিটি প্রভাবশালী বা প্রভাবশালী নয়- সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আইন যে ভঙ্গ করবে সেটি যদি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানও হয় তাহলে আমরা সেখানে সমানভাবেই অ্যাকশনে যাব। দেশে একটি সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে যে, আইন আছে কিন্তু নানা কারণে তা কার্যকর করতে পারি না। এক্ষেত্রে আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে চাই। একটি উদাহরণ হওয়া উচিত।
গতকাল বুধবার দুপুরে গাজীপুর জেলার বনভূমি রক্ষা ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব, গাজীপুরের মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের প্রতিনিধিসহ পরিবেশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরে বনভূমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপিত রিসোর্টসহ অন্যান্য স্থাপনার বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। অবৈধ বনভূমি দখলের ম্যাপিং করা হচ্ছে। ২৬ হাজার একর বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোয় জরুরিভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে সকালে আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, যারা পাহাড় কাটবে, বন ধ্বংস করবে, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। সুন্দরবন বাদে অন্য অঞ্চলের বনকর্মীরা ঝুঁকি ভাতা পান না। এখন যেন সারাদেশের বনকর্মীরা ঝুঁকিভাতা পান, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কক্সবাজারের উখিয়ায় বনবিট কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইনি উদ্যোগ নেয়া হবে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মন্ত্রণালয়ের প্রত্যাশা, নৃশংস হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
প্রসঙ্গত গত ৩০ মার্চ কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় বন রক্ষায় অভিযান চালাতে গিয়ে মাটি পাচারকারীদের ডাম্প ট্রাকের চাপায় খুন হন বনবিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান (৩০)। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।