সাবের হোসেন চৌধুরী : বনের জমি দখলে সরকারি প্রতিষ্ঠানকেও ছাড় নয়, বন কর্মকর্তার খুনিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে

আগের সংবাদ

সর্বাত্মক অভিযানে যৌথবাহিনী

পরের সংবাদ

পণ্যের দাম বেশি : ঝালকাঠির মার্কেটগুলোতে নেই ক্রেতাদের ভিড়

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি থেকে : ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদ উপলক্ষে দেশের সব এলাকায় শপিং মার্কেটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় দেখা গেলেও ঝালকাঠিতে এবার এর ব্যতিক্রম। ঝালকাঠি শহরের মার্কেটগুলোতে আগের মতো নেই মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ফলে জমে উঠেনি ঈদ বাজার। মার্কেটে নেই কোনো ঈদের আমেজ। পোশাকের দোকানগুলোতে নেই তেমন বেচাকেনা। দাম বেশি থাকায় বাজারে ক্রেতা কম বলে দাবি বিক্রেতাদের।
ঝালকাঠি শহরের ঈদবাজার ঘুরে দেখা যায়, মার্কেটগুলোতে আগের মতো মানুষের নেই উপচে পড়া ভিড়। জমে ওঠে নেই ঈদবাজার। মার্কেটে নেই তেমন কোনো ঈদের আমেজ। পোশাকের দোকানগুলোতে নেই তেমন রমরমা বেচাকেনা। দাম বেশি থাকায় বাজারে ক্রেতা কম বলে দাবি বিক্রেতাদের। রমজানের শেষ সময়েও ঈদ বাজারে ক্রেতাদের নেই কোনো আনাগোনা। পোশাকের দোকানে মেয়েদের বিশেষ আকর্ষণ নাহেরা ও বাবা ড্রেস। পাশাপাশি সিল্ক ও সুতির থ্রি পিসসহ রং বেরঙের শাড়ির ঝুলানো রয়েছে। ছেলেদের পাঞ্জাবি, টিশার্ট, জিন্স প্যান্ট, পাজামাসহ আকর্ষণীয় পোশাকও রয়েছে শপিং মলে। এছাড়া জামা কাপড়ের সঙ্গে জুতার দোকানে রয়েছে নানারকম জুতা সাজানো। তবে এ বছর দাম যেন আকাশছোঁয়া। পছন্দের পোশাকের দাম নাগালের বাইরে থাকায় ঈদে নতুন পোশাক কিনতে দেখা যাচ্ছে না তেমন ক্রেতাদের। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে কিন্তু বিক্রেতারা দিন রাত বসে মোবাইল টিপে কেউ বা ঘুমিয়ে আবার কেউ মাথায় হাত রেখে সময় কাটাচ্ছেন। বিশ রোজার পর যেখানে পা রাখারও জায়গা থাকবে না সেখানে শহরের পোশাক, জুতা, কসমেটিকস মার্কেটগুলো ফাঁকা- এমনটাই বলছেন বিক্রেতারা।
রিকশাচালক সুমন বলেন, প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে যে টাকা পাই তাতে আমার পোষায় না। যা টাকা পাই রিকশা ভাড়া দিয়ে আমার কাছে ২০০-৪০০ টাকা থাকে তাতে ঈদের মার্কেট করা সম্ভব না। এই টাকায় সংসার অনেক অভাব অনাটনে চলে। বাজারে সব জিনিসের যে দাম তাতে ঈদের মার্কেট কেমনে করব। অপেক্ষায় আছি, যদি সম্ভব হয়- চাঁদরাতে ঈদের মার্কেট করব।
দোকানের বিক্রেতা রেজওয়ানা বলেন, আমরা সারা বছর বসে থাকি রমজান মাসের আশায়। কেননা, সারা বছর তেমন বেচাকেনা হয় না। রমজান মাসে বেচাকেনা বেশি হবে ইনকাম বেশি হবে। কিন্তু এ বছর সেই রমজান মাসে বেচাকেনা কম হচ্ছে। মানুষ যে টাকা আয় করে আর বর্তমান বাজারে কাপড়ের যে দাম তাতে ক্রেতাদের যে বাজেট থাকে সেই বাজেটে কাপড় পায় না। দোকানে যে পরিমাণে মাল উঠাইছি আমাদের যে টার্গেট তা বিক্রি করতে পারছি না। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেচাকেনা অনেক কম। যারা নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ তাদের বাজেটে না থাকার কারণে অনেকেই মার্কেটে আসে না। আর কাস্টমার না থাকার কারণে আমাদের টার্গেট পূরণ না হওয়াতে আমরা অসচ্ছল হয়ে পড়েছি।
সম্রাট সু দোকান মালিক পরিমল চন্দ্র দে বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ঈদ বাজার উপলক্ষে যেভাবে কাস্টমার সমাগম হওয়া উচিত সেভাবে নেই। তুলনামূলক অনেক কম। মন্দা বাজারে যেভাবে বিক্রি হয় সেই ভাবেই বিক্রি হচ্ছে। ঈদের যে আমেজ সেটা নেই। 
জুতা দোকানের বিক্রেতা হৃদয় বলেন, ১৫-২০ লাখ টাকার মাল উঠাইছি দোকানে কিন্তু মার্কেটে কাস্টমার নেই, তাই বেচাকেনা। সবকিছুর দাম বাড়ার কাস্টমারের বাজেটের সঙ্গেও মিল হয় না। সরকার যদি সবকিছুর দাম কমিয়ে দেয় তাহলে কাস্টমাররাও কিনতে পারবে। আমরাও বিক্রি করতে পারি। আমরা তো লস দিয়ে বিক্রি করতে পারি না। কসমেটিকস দোকানের মালিক মো. রাজু বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর বেচাকেনা নেই বললেই চলে। জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে অনলাইন এবং গ্রামে বড় দোকান হওয়াতে শহরের দোকানে মানুষ কম আসে। ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘœ করতে জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়