সাবের হোসেন চৌধুরী : বনের জমি দখলে সরকারি প্রতিষ্ঠানকেও ছাড় নয়, বন কর্মকর্তার খুনিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে

আগের সংবাদ

সর্বাত্মক অভিযানে যৌথবাহিনী

পরের সংবাদ

নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, প্রশাসন নীরব : হুমকিতে রৌমারীর ফসলিজমি ও বসতবাড়ি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : জেলার রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ, সোনাভরি, হলহলি, জিঞ্জিরাম নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার ভেকু (এক্সিভিকেটর) দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বর্ষা মৌসুম ছাড়া সারা বছর প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন বিষয়ে মাসিক সভায় ও প্রশাসনকে অভিযোগ করা হলেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
এদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে হুমকিতে পড়েছে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। এছাড়া বালু ট্রাক্টর (কাকড়া) দিয়ে পরিবহন করায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও গ্রামীণ রাস্তাঘাট। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার ফলুয়ারচর নৌকা ঘাটে সরজমিন গিয়ে দেখা যায় এসব চিত্র।
জানা গেছে, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে শক্তিশালি একটি চক্র। এ কারণে স্থানীয়রা প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ সিরাজুলসহ অনেকেই বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বর্ষা মৌসুমে ভাঙন হুমকিতে পড়ে নদী। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ব্রহ্মপুত্র নদ, সোনাভরি, হলহলি, জিঞ্জিরাম নদী থেকে প্রতিদিন ভেকু ও ড্রেজার দিয়ে এক থেকে দেড়শ ট্রাক্টর (কাকড়া) গাড়ি বালু উত্তোলন করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে, ইটভাটায় মাটি ও বালু বিক্রয় করা হচ্ছে। অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনে ব্রম্মপুত্র নদসহ অন্যান্য নদীগুলো ভাঙন হুমকিতে পড়ছে। ফলে বর্ষাকালে ও বন্যায় এসব এলাকায় নদীভাঙন দেখা দেয়। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষকে।
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ট্রাক্টর (কাকড়া) ও ভেকুর মালিক সিরাজুল, নুর আলম, আমির খান, সাজেদুল, রফিকুল শাহিন, ফকির চাঁনসহ অনেকেই বলেন, রৌমারীতে প্রায় ১৭টি ভেকু ও ১৮০/২০০টি ট্রাক্টর (কাকড়া) গাড়ি চলছে। কাকড়া গাড়ি কেনা হয়েছে ব্যবসার জন্য। মাটি, বালু পরিবহন না করলে আমরা চলব কীভাবে। ভেকু মালিকরা বলেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের এ ব্যবসা।
বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুল কাদের জানান, বিভিন্ন উন্নয়নের ক্ষেত্রে বালুর প্রয়োজন। কিন্তু এমন নয় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ক্ষতি করা হয়। বালু উত্তোলনের কারণে বর্ষার সময় নদী ভাঙনের মুখে পড়ে নদী তীরবর্তী মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান জানান, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে পেরেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বিষয়ে জানতে পেরেছি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়