সায়মা ওয়াজেদের কারণে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

আগের সংবাদ

পাহাড় জনপদে আতঙ্কের ঢেউ

পরের সংবাদ

লজ্জার হারে সাতে নামল টাইগাররা : চট্টগ্রাম টেস্ট

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর কেটে গেছে ২৪ বছর। লাল বলের ক্রিকেটে এখনো টাইগারদের উন্নতি হয়নি। মাঝে মধ্যে কঠিন প্রতিপক্ষকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে বাহবা কুড়ালেও আদতে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ এখনো ‘শিশুই’। লঙ্কানদের বিপক্ষে দই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হার চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে এই ফরম্যাটে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের অবস্থান? ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন সব শট, ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাতে-দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ দলকে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে। গতকাল লঙ্কানরা যখন শিরোপা নিয়ে উল্লাসে, টাইগারারা তখন মুখ লুকাচ্ছে। আরেকটি টেস্ট হারের হতাশার সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে হোয়াইটওয়াশের দাগ। বাংলাদেশকে ১৯২ রানে হারিয়ে সিলেটের পর চট্টগ্রাম টেস্টেও বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছে সফরকারীরা। গতকাল শ্রীলঙ্কা কেবল জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারার অপেক্ষায় ছিল। চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে তাদের প্রয়োজন ছিল ৩ উইকেট। বাংলাদেশের জন্য বরাবরই লক্ষ্য ছিল আকাশ ছোঁয়া। অবশিষ্ট ৩ উইকেট হাতে রেখে ২৪৩ রান করতে চাওয়া আকাশ কুসুম কল্পনা। পারেনি টাইগাররা। সোয়া এক ঘণ্টার ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ফয়সালা হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা। তাতে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট তালিকার ৪ নম্বরে উঠে এসেছে তারা। টপকে গেছে পাকিস্তানকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ চার থেকে নেমে গেছে পয়েন্ট তালিকার ৭ নম্বরে।
শ্রীলঙ্কা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এখন পর্যন্ত খেলেছে ৪ ম্যাচ। জয় দুটিতে, হার দুটিতে। অর্থাৎ বাংলাদেশ সিরিজের আগে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ছিল শূন্য। দুটোতেই হেরেছিল তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জিতে তাদের পয়েন্ট এখন ৫০ শতাংশ। ৫ ম্যাচে পাকিস্তানের জয় ২টিতে, হার ৩টিতে। তারা পেয়েছে ৩৬.৬৬ শতাংশ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ এত বাজেভাবে লঙ্কানদের কাছে সিরিজ হারবে, তা কোনো টাইগারভক্তই আশা করেননি। শুধু সিরিজ খোয়নোই নয়, ষষ্ঠবারের মতো হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে ১৯২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ১২ বারের মতো সিরিজ জিতেছে লঙ্কানরা।
চট্টগ্রামে দুই ম্যাচের সিরিজের শেষ টেস্টে শ্রীলঙ্কার দেয়া ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ গতকাল অল-আউট হয়েছে ৩১৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে সম্মানজনক একটি স্কোর গড়ে দেন মুমিনুল হক (৫০) ও মেহেদি হাসান মিরাজ (৮১*)।
ম্যাচ হারের পর গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ে তাকালে দেখবেন, সবাই সেট হয়েছে ঠিকই কিন্তু বড় রান করতে পারেনি। এটা নিয়ে ভাবতে হবে। উইকেটে সেট হয়ে গেলে বড় রান করতে হবে। আমাদের বেশি করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হবে।’
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ক্রিজে সেট হয়েছিলেন স্বীকৃত সব ব্যাটারই। তবে ফিফটি হাঁকাতে পেরেছেন কেবল দুই জন। তারা হলেন- মুমিনুল হক ও মেহেদি হাসান মিরাজ। সে হিসেবে শান্তর কথা অমূলক নয়। এমনকি শান্ত নিজেও সেট হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি।
২ টেস্টের চার ইনিংস মিলিয়ে ৩৩ উইকেট নিয়েছেন লঙ্কান পেসাররা। পেসারদের এমন সাফল্যে গর্বিত দলটির অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও। ম্যাচ শেষে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মৃত উইকেটে একজন স্পিনারকে খেলানোর চাইতে আগ্রাসী ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলানোর পক্ষে আমি। আর তাই ফাস্ট বোলারই আমার পছন্দ। এ কারণে আমরা তিন পেসার নিয়ে খেলেছি। আমাদের পেসারদের ভালো করার জন্য উইকেটে ঘাস থাকার প্রয়োজন নেই। তারা এই বিষয়টি প্রমাণও করেছে।’
এমন পিচে উইকেট পাওয়া সহজ নয় বলছেন ধনঞ্জয়া। জানালেন কষ্ট করেই বোলাররা তুলেছেন উইকেট, ‘এখানে উইকেট পাওয়া সহজ নয়। এখানে সূর্যের তাপ অনেক বেশি। এই উইকেট জীবন্ত নয়। তাই আমাদের পরিশ্রম করেই উইকেট নিতে হয়েছে। আমাদের ব্যাটারদের প্রতিভা ছিল, তাই আমরা প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছি। এটা আমাদের বোলারদের কাজে দিয়েছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়