সায়মা ওয়াজেদের কারণে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে : বাহাউদ্দিন নাছিম

আগের সংবাদ

পাহাড় জনপদে আতঙ্কের ঢেউ

পরের সংবাদ

বাড়ছে তাপমাত্রা : ঢাকাসহ চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ক্রমাগত বাড়ছে তাপমাত্রা। দুপুর হলেই বাতাসে আগুনের হলকা। দেশের চার বিভাগের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বইছে এবং এর মাত্রা আরও বাড়তে পারে। তাই ঢাকাসহ চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। আর এতে মানুষের অস্বস্তি আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সরকারি সংস্থাটি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে। এতে আরো বলা হয়, এপ্রিলে দেশে দুই থেকে চারটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং এক থেকে দুটি তীব্র (৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে অতিতীব্র (৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এই পূর্বাভাস এরই মধ্যে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। গত দুই দিন ধরে চার বিভাগে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ আজ (বৃহস্পতিবার) ও আগামীকাল (শুক্রবার) অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া এর মাত্রা আরো বাড়তে পারে।
তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম থাকা সত্ত্বেও কেন হিট অ্যালার্ট জারি করা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আগামী দুই দিন (আজ ও আগামীকাল) বাড়বে। আজ (গতকাল) একটু কম হলেও আগামীকাল বেড়ে যাবে। তাই হিট অ্যালার্ট দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গতকাল বুধবার বিকাল তিনটা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে মানুষের অস্বস্তি আরো বাড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
শিলাবৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ সাদেকুল আলম বলেন, কালবৈশাখী ঝড় যখন হয় তখন উপরের দিকে উঠার সময় বাতাসের তাপমাত্রা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। যে জায়গায় বাতাসের তাপমাত্রা শূন্য হয়ে যায় ওটাকে আমরা ফ্রিজিং লেভেল বলি। শূন্য তাপমাত্রার উচ্চতা যদি আমাদের দেশে ১৪ হাজার ফুটের নিচে হয় এবং ওইদিন যদি ঝড় হয় তাহলে শিলাপাতের সম্ভাবনা খুবই বেশি থাকে। বজ্রঝড়ের মধ্যেই উপরের দিকে শিলা থাকে। কিন্তু ১৪ হাজার ফুটের উপর থেকে পড়া শুরু করলে সেটা গলতে গলতে ছোট হয়ে আসে এবং একপর্যায়ে আর শিলা থাকে না, পানি হয়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ ও আগামীকাল শুক্রবার বিচ্ছিন্নভাবে দেশের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়