পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও আইওএম মিশনপ্রধানের

আগের সংবাদ

পাহাড়ে নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

পরের সংবাদ

লঙ্কানদের জয়ে অপেক্ষা বাড়াল টাইগাররা

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ব্যাটারদের ব্যর্থতায় চট্টগ্রাম টেস্টে হারের মুখে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চাপে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ বাংলাদেশি টপ-অর্ডার। এবার মিডল অর্ডার ব্যাটাররা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সাকিব আল হাসান-লিটন দাসরা থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাতে চতুর্থ দিনে পথ হারায় টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করে শ্রীলঙ্কা। পরে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ১৭৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৫৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা। ৫১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে গতকাল ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান করেছে স্বাগতিকরা। এখনো ২৪৩ রানে পিছিয়ে রয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
স্বীকৃত ব্যাটার বলতে ক্রিজে আছেন কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৪ রানে ব্যাটিং করা মিরাজ হাফ-সেঞ্চুরির অপেক্ষায়। তার সঙ্গে ১০ রান নিয়ে আছেন তাইজুল ইসলাম। এই দুই ব্যাটার আজ পঞ্চম দিনের খেলা কত দূর নিয়ে যেতে পারেন তাই দেখার বিষয়।
চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার দেয়া ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গতকাল দায়িত্বহীন ব্যাটিং করে ফেরেন তিন টপ-অর্ডার। এরপর বলতে গেলে একাই লড়াই চালিয়ে যান মুমিনুল হক। হাঁকিয়েছেন ফিফটি।
তবে ফিফটি করে আর পিচে টিকে থাকতে পারেননি মুমিনুল। আউট হন প্রভাথ জয়সুরিয়ার বলে লাহিরু কুমারার হাতে ক্যাচ হয়ে। আউট হওয়ার আগে ৮ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫৬ বলে ৫০ রান করেন তিনি।
এর আগে ওপেনিংয়ে ৩৭ রানের ছোট জুটি করার পর বোকার মতো বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান মাহমুদুল হাসান জয়। লঙ্কান স্পিনার প্রবাধ জয়সুরিয়াকে পেছনে নেমে কাট করতে গেলে সরাসরি ভেঙে যায় জয়ের স্টাম্প। ৩২ বলে ২৪ রান করেন তিনি।
কিছুক্ষণ পরই জয়ের দেখানো পথে হাঁটেন জাকির হাসানও। খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ তুলে উইকেট বিলিয়ে আসেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। ৩৯ বল খেলে মাত্র ১৯ রান করেন জাকির।
তৃতীয় উইকেটে মুমিনুলের সঙ্গে ৪৩ রানের একটি জুটি করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে জুটিটি বেশি লম্বা হয়নি শান্তর ২০ রানে ফিরে যাওয়ার কারণে। পেসার লাহিরু কুমারার বলে বোল্ড হন টাইগার অধিনায়ক।
সাকিব আল হাসান আর লিটন দাস লড়াই করার চেষ্টা করেছেন। তবে দুজনই সেট হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি। সাকিব করেন ৩৬, লিটন ৩৮ রান। এরপর ১৫ করে কামিন্দু মেন্ডিসের বলে এলবিডব্লিউ হন শাহাদাত হোসেন দিপু।
দিপু ফেরার পর দিনের বাকিটা সময় তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদেই পার করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়