পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও আইওএম মিশনপ্রধানের

আগের সংবাদ

পাহাড়ে নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

পরের সংবাদ

আগামী বাজেট হবে ৮ লাখ কোটি টাকার : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আসন্ন নতুন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের আকার আট লাখ কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহিদুজ্জামান সরকার। তিনি বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি আসন্ন বাজেট জনগণের বাজেট হবে। বাজেটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের ১১টি বিষয় প্রতিফলন ঘটবে। এর বাইরেও কিছু বিষয় আছে, সেগুলোও রেখে বাজেট করা হবে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গতকাল মঙ্গলবার রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশান ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড) আয়োজিত ‘বাজেট ২০২৪-২৫: মূল চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক প্রাকবাজেট আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাজেট ও সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে নবম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করেছি। আমাদের হতাশার কিছু নাই। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইনশাআল্লাহ আমরা ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট করবো। আমরা এক লাখ কোটি টাকার বাজেট দিয়ে শুরু করেছি।’
আলোচনাসভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র‌্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ। র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহিদী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আব্দুল মাজিদ ও ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ প্রমুখ।
শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বাজেট একটি সরকারের রাজনৈতিক অভিলাষ, রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও মানুষের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। প্রতিটা সরকারের একটা পলিটিক্যাল এজেন্ডা থাকে। সেই এজেন্ডাকে অর্থনৈতিকভাবে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করার জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাজেট দিতে হয়। আমাদের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, আমাদের ডেলটা প্ল্যান ২১০০, দ্রব্যমূল্যসহ ১১টা বিষয়ের প্রেক্ষিতেই আমাদের সরকার বাজেট প্রণয়ন করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জিডিপি রেশিও বাড়াতে আগ্রহী। প্রকৃত অর্থে মুক্ত অর্থনীতির অনুসারী আমরা না। আমরা মূলত কল্যাণকর অর্থনীতির অনুসারী। জনকল্যাণ অর্থনীতির জন্য যা করার তাই করা হচ্ছে। জনকল্যাণকর অর্থনীতিতে দেশ চলছে। মূল্যস্ফীতি কমানোর একটা প্রক্রিয়া হলো সুদহার বাড়ানো। সুদহার বাড়ানোর মাধ্যমে এটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আমরা গত বছর টার্গেট করেছিলাম ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করব, হয় নাই। এটা ভাইস ভার্সা; আমরা বাণিজ্য-আমদানি সংকোচন করেছি বলে রাজস্বতে কিছুটা থ্রেট হয়েছে।
শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা হয়তো আছে কোনো কোনো জায়গায়। তবে এর সঙ্গে আমাদের অর্জনগুলোও বিবেচনা করতে হবে। সরকারে গৃহীত প্রকল্পগুরো সঠিকভাবে যথাসময়ে বাস্তবায়নেরও তাগিদ দেন তিনি।
জনগণকে কর দেয়ার প্রতি আগ্রহী করার প্রসঙ্গে নাসের শাহরিয়ার জাহিদী এমপি বলেন, আমাদের রাজস্ব আহরণ একটা পর্যায়ে গিয়ে থেমে গেছে। এটা কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে পর্যন্ত যেতে পারছে না। জনগণকে জানাতে হবে- কর কোথায় কাজে লাগছে। যদি মানুষ এটা সুবিধা বুঝতে পারে এবং এর প্রতি আস্থা তৈরি হয় তাহলে কিন্তু মানুষ কর দিতে আগ্রহী হবে।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, ‘বাজেট তৈরি করা হচ্ছে, পাস হচ্ছে কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বাজেট করা হচ্ছে বড় আকারের, একাধিক বিষয়ের বিশ্লেষণে। সাধারণরা সেখানে যেতে পারছে না। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারতে বাজেট পেশ হলো কয়েক পৃষ্ঠার। আবার বাজেট তৈরি করা হয়, সব মহলের বাজেট বক্তৃতা হয়, তাহলে তার প্রতিফলন কোথায়? বাজেট তৈরির আগেই সবার মতামত নেয়া দরকার, স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনে পেশ ও মতামত, বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়ার প্রয়োজন। এটা হলে বাজেট বাস্তবায়ন না হলে তাদের ধরা যেত।’
ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘বিগত দুই বছরে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে আমাদের। কোভিড-১৯, ডলার সংকট, সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব ছিল। ব্যবসার ওপর ট্যাক্সের চাপ বাড়লে অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়। যেটা অর্থনীতি নিতে পারবে না। এ বছর ব্যবসা করতে না পারলে ট্যাক্স ও কর্মসংস্থান কমে যাবে। আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিছু প্রদক্ষেপ জরুরি। এর মধ্যে বিদেশি ঋণের প্রবাহ বাড়াতে হবে, ট্যাক্স না বাড়িয়ে ট্যাক্সের আওতা বাড়াতে হবে এবং ট্যাক্স স¤প্রসারণ সহজ করতে হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়