গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : ভারতের সবচেয়ে নিম্নমানের প্রোডাক্ট আওয়ামী লীগ

আগের সংবাদ

বহুমাত্রিক কৌশল আ.লীগের

পরের সংবাদ

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন : তামাক পণ্য ব্যবহারে ক্ষতি ৩০ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকার তামাকজাত পণ্য থেকে প্রতি বছর ২২ হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স পায়। কিন্তু এই তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়। এর কারণ হচ্ছে দেশে বিদ্যমান তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনে কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়ে গেছে। যা তামাকের ছোবল থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারছে না। তাই এই মৃত্যুর মিছিল কমাতে দ্রুত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে যুগোপযোগীকরণের দাবি জানিয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন।
গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আবু সালেহ মো. নাজমুল হক, উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তিনটি বিশেষ দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো বর্তমান আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উপনীত করা। এই আলোকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ যুগোপযোগী করে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে স্বাস্থ্য

সুরক্ষা ফাউন্ডেশন ৬টি সুপারিশ করে। সেগুলো হলো- সব পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা। তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা। তামাক কোম্পানির যে কোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা। তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন ও খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা। ই-সিগারেটসহ সব ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।
আবু সালেহ মো. নাজমুল হক বলেন, সরকার তামাকজাত পণ্য থেকে প্রতি বছর ২২ হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স পায়। কিন্তু এই তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়। তামাক ব্যবহারকারীদের কোনোভাবেই উৎসাহিত করা যাবে না। তামাক ব্যবসায়ীদের আইনগত সাহায্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ এবং তামাক বর্জন কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করব। সমাজের প্রতিটি সেক্টরে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। তামাক চাষ বন্ধ করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়