মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুর রহমান আমির (২৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী উপজেলা সদরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়েন। ৭ বছর আগে তার মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে মাধবখালী ইউনিয়নের চৈতা বাজারে ভাড়া বাসায় এবং মা আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় বসবাস করেন। ভুক্তভোগী ছাত্রী মায়ের সঙ্গে থেকেই লেখাপড়া করেন। স্কুল বন্ধ থাকায় তিনি চৈতা বাজারে বাবার বাসায় বেড়াতে যান। ঘটনার দিন ২২ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় সৎ মায়ের সঙ্গে রাগারাগি করে সুবিদখালী যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেন। চৈতা বাস কাউন্টারে এলে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান আমির তার সঙ্গে আলাপচারিতার একপর্যায় হোটেলের রিসিপশনে চাকরি দেয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে করে কুয়াকাটা নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে একটি হোটেল কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন আমির। ধর্ষণের চিত্র অভিযুক্ত তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেও রাখে। হোটেলে দুই দিন আটকে রাখার পর গত ২৫ মার্চ ভুক্তভোগীকে নিয়ে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রেখে চলে যান অভিযুক্ত আমির। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে আব্দুর রহমান আমিরের বিরুদ্ধে গত ২৬ মার্চ মির্জাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে। মির্জাগঞ্জ থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর বোনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান আমিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।