গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : ভারতের সবচেয়ে নিম্নমানের প্রোডাক্ট আওয়ামী লীগ

আগের সংবাদ

বহুমাত্রিক কৌশল আ.লীগের

পরের সংবাদ

সিলেটে তরুণীকে ধর্ষণ : অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট অফিস : ভালো কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সিলেটে এক তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ অপর আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় পুরো সিলেট জুড়ে তোলপাড় চলছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অভিযান চলমান রয়েছে এবং খুব শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। মামলার অপর আসামিরা হলেন- লালদীঘিরপাড় ২৭ নম্বর বাসার আবদুল মনাফ (৩৮) ও ঘাসিটুলা মতিন মিয়ার কলোনির রেখা বেগম (৩০)। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভালো কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুই দফায় প্রায় দুইমাস এক তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও নগরের লালদীঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা আবদুস সালাম (৪০) ও তার সহযোগীরা। এমন অভিযোগে গত শনিবার এক নারীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন একই এলাকার

বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী তরুণীর মা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী ওই তরুণী নগরীর শেখঘাটের একটি বোতল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। পরিবারের সদস্যরা ওই তরুণীকে সিলেট শহরের বাসায় রেখে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। এই সুযোগে একই কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম লালদীঘিরপাড়ের আবদুস সালামের সঙ্গে তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দেন। আবদুস সালাম তাকে ভালো কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখান। গত ৭ জানুয়ারি রেখা বেগম ভালো কাজের কথা বলে তরুণীকে আবদুস সালামের লালদীঘিরপাড়স্থ বাসায় নিয়ে যান। পরে বাসার একটি রুমে ২২ দিন আটকে রেখে আবদুস সালাম তাকে ধর্ষণ করে। পরিবারের সদস্যরা সিলেট নগরীর বাসায় ফিরে তরুণীকে না পেয়ে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নেন। কিন্তু কোথাও না পেয়ে থানায় জিডি করতে চাইলে রেখা বেগম বাধা দিয়ে তাদের আবদুস সালামের কাছে নিয়ে যান। আবদুস সালাম তরুণীকে উদ্ধারের ব্যাপারে আশ্বাস দেন। কয়েকদিন পর পরিবারের সদস্যরা আবারও আবদুস সালামের কাছে যান। তখন আবদুস সালাম জানান, লন্ডন প্রবাসী একটি পরিবারের কাছ থেকে তরুণীটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সময় লন্ডন প্রবাসী পরিবারের পরিচয় জানতে চাইলে আবদুস সালাম ক্ষেপে যান। কিন্তু ভুক্তভোগী তরুণী সবার সামনে জানান, আবদুস সালাম তাকে ধর্ষণ করেছে। এ সময় চাপে পড়ে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রæতি দেন আবদুস সালাম। এ ঘটনার ৩ দিন পর আবদুস সালাম বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যান। পরে মামলার আসামি আবদুল মনাফের মাধ্যমে তাকে হবিগঞ্জে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করেন আবদুস সালাম ও আবদুল মনাফসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন। সেখান থেকে গত ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে তরুণীকে উদ্ধার করে আনা হয়।
এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মঈন উদ্দিন সিপন বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর মায়ের মামলা আমরা রেকর্ড করেছি এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে কৌশলে অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু আসামিদের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে খুব শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়