গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : ভারতের সবচেয়ে নিম্নমানের প্রোডাক্ট আওয়ামী লীগ

আগের সংবাদ

বহুমাত্রিক কৌশল আ.লীগের

পরের সংবাদ

ডিবির অভিযানে গ্রেপ্তার : আইনজীবীর মেয়েকে বৃত্তি দেয়ার কথা বলে অভিনব প্রতারণা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে মো. সাজ্জাদ হাওলাদার (২৬) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা। এ সময় তার কাছ থেকে ৩টি মোবাইল ফোন এবং ৩টি সিম উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) বলছে, ফরিদপুরের বাসিন্দা সাজ্জাত ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। কম পরিশ্রমে বেশি টাকা উপার্জনের আশায় এলাকার সমবয়সী বন্ধুদের সঙ্গে মিলে বিকাশ বা নগদের টাকা আত্মসাৎ করার কৌশল রপ্ত করেন। পরে তারা সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তুলে প্রতারণার মাধ্যমে বৃত্তির টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সম্প্রতি এক আইনজীবীর মেয়েকে উপবৃত্তির টাকা দেয়ার কথা বলে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। ওই ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এ সময় তিনি বলেন, ভুক্তভোগী এক আইনজীবীর মেয়ে। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। গত ২২ জানুয়ারি ওই আইনজীবীর ফোনে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। সেখানে জানানো হয় ভালো ফলাফলের জন্য তার মেয়ে প্রতি মাসে ৫ হাজার ২০০ টাকা করে বৃত্তি পাবে। এজন্য উল্লেখিত ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী ২৩ জানুয়ারি নির্ধারিত নাম্বারে ফোন করলে বকশীবাজার শিক্ষা বোর্ডের অফিস বলে জানানো হয়। এ সময় তার মেয়ে প্রতিমাসে ৫ হাজার ২০০ টাকা করে ৭ মাস ও ১ বছর পর থেকে ৩ বছর পর্যন্ত মাসিক ১২ হাজার ৫০০ টাকা করে বৃত্তি পাবে বলে জানানো হয়। এ সময় ভুক্তভোগীর ব্যাংকের নাম, হিসাব নাম্বার ও শাখার নাম জানতে চায়। যে অ্যাকাউন্টে মেয়ের বৃত্তির টাকা জমা হবে, সেজন্য একটি বিকাশ নাম্বার ও মেয়ের মোবাইল নাম্বার এবং এনআইডি নাম্বার জানতে চায়।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী তথ্য দিলে তাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ফোন করে আরো কিছু তথ্য চাইবে বলে জানানো হয়। পরে ভুক্তভোগীর বিকাশ নাম্বারে বিভিন্ন মেসেজ আসে ও একাধিক কোড ভুক্তভোগীকে সরবরাহ করা হয়। এক পর্যায়ে ফোন করে মোবাইলে ক্যালকুলেটর দেখতে বলে। নির্দিষ্ট একটি নাম্বারের সঙ্গে অপর একটি নাম্বার ও বাদীর বিকাশের পিন যোগ করে যোগফল জানতে চাইলে ভুক্তভোগী যোগফল জানান। তখন তাকে ১২ ঘণ্টা তার বিকাশে লেনদেন বন্ধ রাখতে বলা হয় ও অ্যাকাউন্ট চেক করতেও নিষেধ করা হয়। সন্দেহ হলে ১০-১৫ মিনিট পর ভুক্তভোগী বিকাশ অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখেন তার ১ লাখ টাকা কেটে নেয়া হয়েছে। এভাবে পরে আরো ১ লাখ এবং ৮০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী। মামলার তদন্তে নেমে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগ। এ চক্রটি অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো। তাই বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্টের তথ্য, পাসওয়ার্ড অপরিচিত কাউকে না দেয়ার অনুরোধ জানান ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়