কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বুয়েটের ঘটনায় তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। সেখানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নামে বুয়েটকে একটা অপরাজনীতি ও জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত করা হবে, এটা যাতে না হয় আমরা তদন্ত করে দেখছি। এরকম কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে। বুয়েটে সেদিন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। আর আমি রাজনীতি করি বলে বুয়েটে যেতে পারব না- এটা কোন ধরনের আইন? কোন ধরনের নিয়ম? গতকাল রবিবার দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের দলীয় নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ চট্টগ্রাম বিভাগের আওয়ামী লীগের নেতারা।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে প্রশাসন কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এমপি-মন্ত্রীরা যদি হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকি তাহলে বিনা প্রতীকে নির্বাচন করার যে উদ্দেশ্য নেত্রী স্থির করেছেন তা সার্থক হবে। কেউ ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা কেউ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন, আবার কেউ ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেন। সেই পাকিস্তানি আমল থেকে যে ভাষায় আইয়ুব খান কথা বলেছে, আজ সেই ভাষায় কথা বলছে বিএনপি। তাদের সব ইস্যুই মার খেয়েছে ভোটে পরাজিত হয়ে। এখন তাদের ইস্যু ভারত বিরোধিতা। অ্যান্টি ইন্ডিয়া ফোভিয়া তৈরি করার ইস্যু খুঁজে নিয়েছে।
রিজার্ভ নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায় তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। আর তারা এখন রিজার্ভ নিয়ে কটাক্ষ করে। যখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে, ঈদ উপলক্ষে সে রিজার্ভ আরো বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তারা না জেনে-শুনেই মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিতর্কের জবাব আমরা মোটাদাগে বলি, পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না। তাহলে এম এ মান্নান, সন্দীপ এরাও তো স্বাধীনতার ঘোষক! তারপরও বড় কথা এ ঘোষণার বৈধ অধিকার কার ছিল? বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কারো স্বাধীনতা ঘোষণার অধিকার ছিল না। সে ম্যান্ডেট ৭০’র নির্বাচনে জনগণ তাকে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার লিগ্যাসি। বঙ্গবন্ধুর পর আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের লিগ্যাসি হিসেবে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি।
বাজার দর নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু পণ্যের দাম কমেছে। বাজার ওঠানামা করবেই। বিশ্বসংকট এজন্য দায়ী। আর শাস্তি পাচ্ছি আমরা। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই এ সংকট অতিক্রম করার সাহস পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, এ সংকট কেটে যাবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্মেলন করে সেখানে কমিটি গঠন করা হবে। ঢাকা থেকে প্রেস রিলিজ দিয়ে কেন কমিটি গঠন করতে হবে?