গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : ভারতের সবচেয়ে নিম্নমানের প্রোডাক্ট আওয়ামী লীগ

আগের সংবাদ

বহুমাত্রিক কৌশল আ.লীগের

পরের সংবাদ

ঈদে নিরাপত্তা বিধানে ইন্টারকমিং ও সুইচ ব্যবস্থা : সৈকতের নিরাপত্তায় ৪৪ সিসি ক্যামেরাসহ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের বিভিন্ন সৈকতে ৪৪ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। রাজধানীর পল্টনে ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। সেখান থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও কক্সবাজারের প্রতিটি বিচকে ইন্টারকমিং সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে। এর ফলে পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টারকমের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশকে জানাতে পারবে। বিচে নির্দিষ্ট স্থানে সুইচ থাকবে। বিপদগ্রস্ত বা সমস্যাগ্রস্ত কোনো পর্যটক চাইলে সেই সুইচ চাপ দিলে নিকটস্থ ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হবেন।
আসন্ন ঈদুল ফিতরে লম্বা ছুটি পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে এবার ৩ লাখ পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে যাবেন বলে হিসাবে বলছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের বেশির ভাগ হোটেল বুকিং শেষ হয়ে গেছে। আর এ লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকালে পল্টনে প্রধান কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান ট্যুরিস্ট পুলিশপ্রধান অতিরিক্ত আইজি (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু কালাম সিদ্দিক। মতবিনিময় সভায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা, গাজীপুর ইউনিটের প্রধান, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় অনলাইনে ১০৪ জন ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্য মতে, জিডিপিতে ২০১৩ সালে

ট্যুরিজমের অবদান ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ- যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশে। এ সাফল্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ অন্যতম অংশীদার উল্লেখ করে ট্যুরিস্ট পুলিশপ্রধান আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১০/১১ এপ্রিল। সে হিসেবে ১০ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের ছুটি ও ১৩ এপ্রিল সপ্তাহিক বন্ধ এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। দীর্ঘ এই ছুটিতে পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম আশা করা যাচ্ছে। এ সময়ে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ১২টি, পতেঙ্গা বিচে ১২টি ও কক্সবাজারে ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। দেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ সাজেক ভ্যালিতেও এবারই প্রথম ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের প্রতিটি বিচকে ইন্টারকমিং সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে। কক্সবাজারের প্রতিটি বিচ এলাকায় সিকিউরিটি অ্যালার্মিং বাটন লাগানো হচ্ছে, এর ফলে কোনো পর্যটক কোনো সমস্যায় পড়লে কল বা বাটনে টিপ দিলে সে স্থানে ট্যুরিস্ট পুলিশ হাজির হবে। মো. আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, প্রতিটি বিচে ফ্রি মোবাইল ফোন সিস্টেমও দেয়া হচ্ছে। যেখান থেকে পর্যটক কোনো প্রয়োজনে সরাসরি ট্যুরিস্ট পুলিশ তথা সেন্টারে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে কল করতে পারবে। এছাড়াও সম্প্রতি ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ঘোড়ার গাড়ি ও ময়ূরপঙ্খী বিচ বাইকের মাধ্যমে পর্যটকদের নিরাপত্তায় টহল ডিউটি দেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়