মির্জা ফখরুল : দলমত নির্বিশেষে ‘গণঐক্য’ গড়ার আহ্বান

আগের সংবাদ

পরিবেশবাদীদের ক্ষোভ প: সুনামগঞ্জে একসঙ্গে ৩ হাজার গাছ কাটার উদ্যোগ

পরের সংবাদ

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট : বর্ষবরণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের আহ্বান

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পহেলা বৈশাখে নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান সন্ধ্যার মধ্যে শেষ করতে সরকারের নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। গতকাল শুক্রবার জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক আহকামউল্লাহ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাঙালির সবচাইতে বড় সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক উৎসব হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। শত শত বছর ধরে গ্রামবাংলার বৈশাখী মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ খেলাধুলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ পালিত হয়ে আসছে। নগরায়নের সঙ্গে সঙ্গে নগরে-শহরেও এ উৎসব সম্প্রসারিত হয়েছে। সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে। বৈশাখী উৎসব এবং মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের জন্য প্রতিটি উপজেলায় সরকারি বরাদ্দ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের নির্দেশনা থাকলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত বলেই বিবেচিত হচ্ছে।
তারা বলেন, সব জাতীয় দিবস এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের সময়ের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও শুধু বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ আয়োজনকে সীমিত করে দেয়া কখনই যৌক্তিক হতে পারে না। আমরা মনে করি, এই সিদ্ধান্তের ফলে বাঙালি সংস্কৃতিবিরোধী শক্তি উল্লসিত হবে।
প্রসঙ্গত, পহেলা বৈশাখে রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশে যেসব অনুষ্ঠান খোলা জায়গায় হবে, সেগুলো সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে এবং

মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে যারা পহেলা বৈশাখের সকালে ক্যাম্পাসে যাবেন, তাদের বরাবরের মতোই কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। যেমন বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এবারো কোনো ধরনের মুখোশ পরা যাবে না, বহন করা যাবে না ব্যাগ। তবে চারুকলা অনুষদের বানানো মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ষবরণের সব আয়োজন বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করাসহ ভুভুজেলা বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়