মির্জা ফখরুল : দলমত নির্বিশেষে ‘গণঐক্য’ গড়ার আহ্বান

আগের সংবাদ

পরিবেশবাদীদের ক্ষোভ প: সুনামগঞ্জে একসঙ্গে ৩ হাজার গাছ কাটার উদ্যোগ

পরের সংবাদ

বেচাকেনা জমজমাট : কম দামে ভালো পাঞ্জাবিতে আগ্রহ

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ছেলেদের ঈদের পোশাক মানেই যেন পাঞ্জাবি। পোশাকের তালিকায় শার্ট, গেঞ্জি, ফতুয়া যা-ই কেনা হোক না কেন, পাঞ্জাবি না কিনলে মনে হয় যেন ঈদটাই অপূর্ণ রয়ে যায়। আর তাই নামিদামি ব্র্যান্ডের শোরুম থেকে শুরু করে ফুটপাত সবখানেই রয়েছে পাঞ্জাবির সমাহার। ঢাকার গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট ও পুরান ঢাকায় পাওয়া যাচ্ছে কম দামে ভালো মানের পাঞ্জাবি, যা মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালের মধ্যেই।
ঢাকার গ্রেট ওয়াল, গুলিস্তান, পল্টন, পীর ইয়েমেনি মার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় গতকাল শনিবার ঈদের পাঞ্জাবি কিনতে সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল। পাঞ্জাবি দোকানের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, এখন ব্র্যান্ডের শোরুমগুলো থেকে অনেকে পাঞ্জাবি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন অতিরিক্ত দামের কারণে। তাই কিছুদিন হলো আমাদের বেচাকেনাও জমজমাট হয়ে উঠেছে। গুলিস্তান পীর ইয়েমেনি মার্কেটের দোকানিরা জানান, সুতির ভালো মানের পাঞ্জাবি অনায়াসে ৫০০ থেকে হাজার টাকার মধ্যে কেনা সম্ভব। তবে এর চেয়ে ভালো মানেরও দামি পাঞ্জাবি আছে। সিল্ক, কাতান, ক্লাসিক কটন, সফট কটন, ধুতি ইন্ডিয়ান, বার্মিজ কাপড়, টিভি কাপড় ও জুট কটনের পাঞ্জাবি ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। আর ছোট বাচ্চাদের পাঞ্জাবিও একই দামে পাওয়া যায়।
যাত্রাবাড়ী থেকে পাঞ্জাবে কিনতে আসা ফাহিম বলেন, গুলিস্তান ও বঙ্গবাজার এলাকার দোকানগুলোতে মোটামুটি কম দামে ভালো ডিজাইনের পাঞ্জাবি পাওয়া যায়। দেখা যায় বড় বড় শোরুমে এখানের চেয়ে বেশি দাম, কিন্তু মান একই। বাইতুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটেও

ভালো কাপড়ের পাঞ্জাবি পাওয়া যায়। এছাড়া ঢাকা কলেজের উল্টো দিকের মার্কেটে ছেলে ও মেয়েদের সব জামাকাপড় পাওয়া যায়।
পুরান ঢাকার গ্রেট ওয়ালে ছেলে এবং স্বামীর জন্য পাঞ্জাবি কিনতে আসা রুনা লায়লা জানান, তার স্বামী ব্যস্ত থাকায় শপিং করতে আসতে পারেনি। তাই স্বামী এবং একমাত্র ছেলের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসেছেন। গ্রেট ওয়ালে পাঞ্জাবির দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবি আছে। কোয়ালিটিও বেশ ভালো। আমি দুটো পাঞ্জাবি কিনেছি ১৩০০ টাকা দিয়ে। অন্যান্য জায়গার তুলনায় এখান থেকে সাশ্রয়ী দামে পাঞ্জাবি কিনতে পেরেছি।
বঙ্গবাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে সুতি ও কটনের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে। বঙ্গবাজারের বিক্রেতারা জানান, আগুন লাগার পর এবারই মোটামুটি ঈদ উপলক্ষে কাস্টমারদের সমাগম ঘটেছে। বঙ্গবাজারের বিক্রেতা মো. আনোয়ার বলেন, গত এক বছরে তেমন বেচাকেনা হয়নি বললেই চলে। তবে এবার ঈদ উপলক্ষে শুধু পাঞ্জাবিটা একটু বেশি বেচাকেনা হচ্ছে। সুতি পাঞ্জাবি সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু। তবে কাতান কাপড়ের পাঞ্জাবির একটু বেশি দাম। প্রথম রোজা থেকে ক্রেতা এখন অনেক বেশি। মানুষ কম দামে ভালো পাঞ্জাবি পাচ্ছে, এজন্য সবাই কিনছে। এসব পাঞ্জাবি কেরানীগঞ্জের কারখানাতে তৈরি হয় বলে জানান তিনি।
বলা যায় রাজধানীর যে কোনো শপিং সেন্টার বা দোকানের চেয়ে কম দামে পাঞ্জাবি যায় বঙ্গবাজারে। এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট বা অন্য যে সব মার্কেট আছে সেখান থেকেও কম দামে পাঞ্জাবি কিনতে চাইলে আসতে হবে বঙ্গবাজারে। বঙ্গবাজারের দোকানিরা বলেন, এখানে অধিকাংশ দোকানে পাইকারি দরে পাঞ্জাবি বিক্রি করে। এখান থেকে রাজধানীর অনেক শপিং সেন্টারে পাঞ্জাবি যায়। আগে আমরা পাইকারি দিয়ে কুল পেতাম না। কিন্তু আগুন লাগার পরে ক্রেতার ভিড় কমেছে। তাই এখন খুচরা বিক্রি করছি। অন্যান্য কাপড়ের চেয়ে পাঞ্জাবি বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট বিক্রেতারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়