মির্জা ফখরুল : দলমত নির্বিশেষে ‘গণঐক্য’ গড়ার আহ্বান

আগের সংবাদ

পরিবেশবাদীদের ক্ষোভ প: সুনামগঞ্জে একসঙ্গে ৩ হাজার গাছ কাটার উদ্যোগ

পরের সংবাদ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী : মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন জিয়া

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।
গতকাল শুক্রবার মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন। জিয়া রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে, আর বেগম জিয়া তার পুত্রসহ পাকিস্তানে ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশে থাকে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর। এটি পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি। তাই তারা এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।
জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়ার মতো খলনায়ককে আজকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫ এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ নতুন ইতিহাস জানতে পেরেছে। জিয়াউর রহমান যে প্রকৃত পক্ষে একজন খলনায়ক ছিল সেটিও মানুষ জানতে পেরেছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে প্রতিদিন চোর, ডাকাত, পকেটমার, হাইজাকারসহ তিন-চার হাজার আসামি ধরা পড়ে। ওসব আসামিকে বিএনপির মহাসচিব বিএনপিকর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে চান কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খানকে উদ্দেশ্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি এখন অনেক লম্বা লম্বা কথা বলেন। অথচ তার পিতা আব্দুল মোমেন খান ১৯৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন; তিনি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খাদ্য ভর্তি জাহাজ ফিরিয়ে দিয়ে দেশে দুর্ভিক্ষ লাগাতে সহায়তা করেছেন। পরবর্তীতে তাকে জিয়াউর রহমান উপদেষ্টা নিযুক্ত করে সেই পুরস্কার দিয়েছিল।
সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সহসভাপতি শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, সহসভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়