এমসিসিএইচএসএলে দুর্নীতির অভিযোগ

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে দুষ্ট চক্রের থাবা

পরের সংবাদ

রাষ্ট্রপতিকে নির্মূল কমিটির স্মারকপত্র প্রদান : যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্নে বিচারপতি নিয়োগের আহ্বান

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধর সময় সংগঠিত যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আপিল মামলার বিচার ত্বরান্বিত করতে উচ্চ আদালতে পর্যাপ্ত বিচারপতি নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে স্মারকপত্র দিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। এতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় ২০০৯ সালে ‘সাহাবুদ্দিন কমিশন’ এর দেয়া সুপারিশসহ ১৪০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই স্মারকপত্র প্রদান করে সংগঠনটি।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন- নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সংগঠনের উপদেষ্টা বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সহসভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সহসভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, সহসভাপতি শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, কেন্দ্রীয় নেতা আরমা দত্ত এমপি, ৮ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কাজী মুকুল ও সদস্য সচিব শহীদসন্তান আসিফ মুনীর।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানান, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মুক্তিযুদ্ধ ও সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির চেতনা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করে দেশকে অন্য পথে পরিচালিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দেয়নি। রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তিনি স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।
সাক্ষাৎকালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিনিধি দল আগামী ৩ মে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান। রাষ্ট্রপতি এতে সম্মতি জানান। প্রতিনিধি দল ১৯৭১ এর গণহত্যাকারীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আদালতে অধিক সংখ্যক বিচারক নিয়োগ এবং সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সাহাবুদ্দিন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য স্মারকপত্র প্রদান
করেন। তারা সাহাবুদ্দিন কমিশনের প্রস্তাবনা ও সুপারিশ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় একাত্তরের ঘাতক দালাল

নির্মূল কমিটি সাহাবুদ্দিন কমিশনের প্রস্তাবনা ও সুপারিশ সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করবে মর্মে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীদের সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ কমিশন ‘সাহাবুদ্দিন কমিশন’ নামে পরিচিত।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস. এম সালাহউদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়