এমসিসিএইচএসএলে দুর্নীতির অভিযোগ

আগের সংবাদ

শ্রমবাজারে দুষ্ট চক্রের থাবা

পরের সংবাদ

একনেকে ১১ প্রকল্পে সায় : ব্যয় হবে সাড়ে ৮ হাজার কোটি

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর একনেকের দ্বিতীয় সভায় ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একটি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো ও ১০টি নতুন প্রকল্পসহ মোট ১১টি প্রকল্পের বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে সাত হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এটি চলতি অর্থবছরের অষ্টম ও বর্তমান সরকারে দ্বিতীয় একনেক সভা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, কৃষি পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আবদুল বাকী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. মোহাম্মদ ইমদাদউল্লাহ মিয়ান।
সংবাদ সম্মেলনের সূচনা বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, একনেক সভায় নতুন ১০টি প্রকল্প উত্থাপন করা হয়। তার মধ্যে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের তিনটি; কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের পাঁচটি; আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের একটি এবং শিল্প ও শক্তি বিভাগের একটি। এর বাইরে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য একটি ও একনেকে অবগতির জন্য দুইটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগের প্রকল্প তিনটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে মিসরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ; রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (প্রথম সংশোধিত); সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদী বর্ডার (এন-৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ)।
কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়) ও ইম্প্রুভমেন্ট অব ফিস ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারিস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট; স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাসমূহের পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন; ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) এবং প্রোমোটিং রেজিলেন্স ফর ভালনারেবল থ্রট এক্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ই¤প্রুভড স্কিলস অ্যান্ড ইনফরমেশন (তৃতীয় পর্যায়)।
এছাড়া আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আটটি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র

স্থাপন (প্রথম সংশোধিত), শিল্প ও শক্তি বিভাগের মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ তাঁতে বোর্ড কমপ্লেক্স স্থাপন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম আরো জানান, মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবের মধ্যে ছিল পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের বাংলাদেশ বেতার শাহবাগ কমপ্লেক্স, আগারগাঁও স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (প্রথম পর্যায়) ৩য় সংশোধিত। তিনি বলেন, ১০টি নতুন প্রকল্প ও একটির ব্যয় বৃদ্ধিসহ ১১টি প্রকল্প অনুমোদনে জন্য একনেকে উপস্থাপন করা হয়। সেখানে ১১টির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তাতে ব্যয় ধরা হয়ে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা ও বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। কিছু সংশোধনী আছে সেগুলো যথাসময়ে করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়