কাগজ প্রতিবেদক : বিভিন্ন নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশ স্বাধীন করেছেন বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বঙ্গবন্ধু কোনো অন্যায় ও সহিংস পথ অবলম্বন করেননি জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ধাপে ধাপে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন যথাক্রমে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ‘৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ‘৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন ও সবশেষে ‘৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
গতকাল বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়নি। এটি ছিল দীর্ঘ ২৪ বছরের বিভিন্ন নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল একটি জনযুদ্ধ।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন পুরোদস্তুর একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতেন এবং তাদের দুঃখ-কষ্টে পাশে দাঁড়াতেন। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী প্রমুখ নেতারাও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট সৃষ্টিতে অবদান রেখেছেন। তবে এতে সবচেয়ে মুখ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শিল্পমন্ত্রী বলেন, পিতার কাছ থেকে নেতৃত্বের সব গুণাবলি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সদস্য সচিব ও কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান। খোকা থেকে জাতির পিতায় রূপান্তরের ইতিহাস বর্ণনা করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথম রাজনৈতিক নেতা, যিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশে ছিলেন, তাদের কাছে ক্ষমতা নিয়ে গিয়েছিলেন। যে কারণে তিনি এদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষ, শ্রমিক ও মজুরের নেতা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, স্বাধীনতা মানে শুধু দেশ ও জাতি স্বাধীন হওয়া নয়। এর তাৎপর্য আমাদের গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে। তিনি বলেন, শুধু দিবস পালনে সীমাবদ্ধ না থেকে স্বাধীনতার মর্মার্থ ও তাৎপর্য আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
এর আগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিল্পমন্ত্রী। এরপর তিনি মন্ত্রণালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারীদের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।