আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

আগের সংবাদ

বাজার তদারকি দৃশ্যমান নয়

পরের সংবাদ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২৪

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয় নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পরের মঙ্গলবার। সেই হিসেবে এবারের নির্বাচন মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর ২০২৪। আধুনিক ইতিহাসে মুখ্যত প্রধান দুটি দল, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ডেমোক্র্যাটদের বলা হয়, লিবারেল, রিপাবলিকানরা রক্ষণশীল। রিপাবলিকানদের ‘জিওপি’ (গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিও) বলা হয়ে থাকে। নির্বাচনে যিনি জিতবেন ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তিনি হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হবেন।
এ বছর প্রাইমারি গুরুত্বহীন, কারণ বাইডেন ও ট্রাম্প ইতোমধ্যে নিজ নিজ দলের মনোনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ডেলিগেট পেয়ে গেছেন। তবুও নিয়মরক্ষার প্রাইমারি ও ককাস চলছে। নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে ৯ জন রিপাবলিকান, ৪ জন ডেমোক্র্যাট ও ২ জন স্বতন্ত্র মিলে মোট ১৫ জন প্রার্থী ছিলেন। যদিও দুই দলের অন্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। স্বতন্ত্র দুজন এখনো আছেন। এর মধ্যে নিহত প্রেসিডেন্ট জন কেনেডির ভ্রাতুষ্পুত্র রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে নিয়ে ডেমক্র্যাটরা চিন্তিত।
ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এবার বাইডেনের বিরুদ্ধে তেমন কোনো প্রার্থী ছিলেন না, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিকি হেলি থাকলেও ৫ মার্চ ২০২৪ ‘সুপার টুইসডে’র পর তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। সুপার টুইসডে মুখ্যত দলীয় প্রার্থী কে হচ্ছেন তা ইঙ্গিত করে। ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাট শিবিরে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এগিয়ে ছিলেন। সুপার টুইসডেতে দল বাইডেনের পেছনে দাঁড়ায়, তিনি এগিয়ে যান এবং চূড়ান্তভাবে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন, নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হন।
জনগণের সরাসরি ভোটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না? তিনি নির্বাচিত হন, ইলেকটোরাল ভোটে। মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট আছে, এর মধ্যে যিনি ২৭০টি ভোট পান, তিনি নির্বাচিত হন। এজন্য ২৭০-হচ্ছে ম্যাজিক নম্বর। জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রতিটি স্টেটের কিছু ইলেকটোরাল ভোট থাকে। যেই প্রার্থী যেই স্টেটে জয়ী হন তিনি সেই স্টেটের সব ইলেকটোরাল ভোট পান। তবে মেইন ও নেব্রাস্কায় ইলেকটোরাল ভোট ভাগাভাগি হয়ে থাকে। মেইনে ৪টি এবং নেব্রাস্কায় ৫টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।
ইলেকটোরাল ভোট-ব্যবস্থার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আল গোর এবং হিলারি ক্লিনটন পপুলার ভোটে জিতেও প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। অর্থাৎ নির্বাচনটি জাতীয় পর্যায়ে হলেও সিদ্ধান্ত হয় স্টেট পর্যায়ে। ছোট-বড় সব স্টেটের সমান গুরুত্ব বহাল রাখতে মার্কিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতারা এ ব্যবস্থাটি করে গেছেন। একইভাবে এবং একই কারণে প্রতি স্টেট থেকে দুজন সিনেটর নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ১০/১২টি স্টেট ব্যতীত প্রায় সব স্টেট মূলত ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান শিবিরভুক্ত। ওই ১০/১২টি স্টেটকে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ বলা হয়ে থাকে এবং প্রার্থীরা ঐসব স্টেটে প্রচার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এবারো ব্যতিক্রম নয়?
১৮ বছরের মার্কিন নাগরিক ভোটার হতে পারেন। ভোট দিতে হলে বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কি শুধুই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন? আসলে তা নয়, এবার কংগ্রেসের পুরো ৪৩৫টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে, কিছু সিনেট, গভর্নর পদে লড়াই হচ্ছে। বর্তমানে হাউস বা কংগ্রেস রিপাবলিকানদের দখলে, সিনেট ডেমোক্র্যাটদের। নভেম্বরে সবকিছু পাল্টে যেতে পারে। ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’-এ ট্রাম্প এ বছর বাইডেন থেকে সামান্য এগিয়ে আছেন।

নিউইয়র্ক থেকে
শিতাংশু গুহ : কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়