আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

আগের সংবাদ

বাজার তদারকি দৃশ্যমান নয়

পরের সংবাদ

পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী : জলবায়ু সহনশীল সমাজ গড়তে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, আমাদের পরিবেশ রক্ষায় এবং জলবায়ু-সহনশীল সম্প্রদায় গড়ে তুলতে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন এবং অভিযোজন প্রচেষ্টায় তাদের ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়া অপরিহার্য। নারীর পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে আমরা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৃহত্তর স্থায়ীত্ব ও স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করতে পারি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন ও উন্নয়ন সংস্থা বহ্নিশিখার যৌথ উদ্যোগে ‘এমপাওয়ারিং উইমেন ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন জরুরি কারণ তারাই হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পরিবর্তনের মূল এজেন্ট। তিনি বলেন, নারীরা পরিবেশ সংরক্ষণ, অভিযোজন এবং প্রশমন প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকার প্রভাব মূল্যায়ন করে জলবায়ু পদক্ষেপ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের

অভিজ্ঞতাকে স্বাগত জানায়। সর্বাধিক প্রভাবের জন্য কৌশলগত ব্যয় অপরিহার্য। পানি ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।
এর আগে পরিবেশমন্ত্রী গতকাল মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় দ্বীপ এবং নদীর চরে বসবাসকারী বিপন্ন জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জলবায়ুজনিত দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে স্থানীয় জনসাধারণের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এর ফলে রংপুর ও ভোলা জেলার চরে বসবাসকারী জনসাধারণ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি এবং বন্যা মোকাবিলা করার জন্য ৯০০টি জলবায়ু-সহনশীল ঘর মেরামত করা হবে। ৫০০ পরিবারের জন্য রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৩০টি সোলার ন্যানো-গ্রিড এবং ২০টি ক্ষুদ্র দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। সাবের হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, উপকূলীয় ও নদী চর এলাকার ইকোসিস্টেম-ভিত্তিক অভিযোজন এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত/রক্ষণাবেক্ষণ ও মজবুত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। নির্বাচিত দ্বীপগুলোর জন্য জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি মানচিত্র তৈরি করা হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেয়া ও ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতির সরঞ্জাম বিতরণ করা হবে। জরুরি উদ্ধার নৌযান বা ভাসমান অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হবে। স্থানীয় মানুষের জন্য জলবায়ু সহনশীল বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে। কৃষকদের জলবায়ু-সহনশীল কৃষি অনুশীলনের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সৌরচালিত হিমাগার ও সেচ পাম্প স্থাপন করা হবে। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের তাদের নিজ নিজ কর্মকাণ্ডে জলবায়ু ঝুঁকি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ৪টি জলবায়ু অভিযোজন শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। জলবায়ু সচেতনতা প্রচার অভিযানের বাস্তবায়ন করা হবে।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। পরিবেশমন্ত্রী প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন যথাসময়ে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়