নোয়াখালী প্রতিনিধি : হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে রোহিঙ্গা নাগরিক মো. সুলতানকে (৫৫) গলা কেটে হত্যা মামলার ৮ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকালে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিরা হলো রোহিঙ্গা মো. জলিল (৪৯), ওসমান গনি (২৪) ও মোহাম্মদ হোছন (৫৬)।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১১৬ নম্বর ক্লাস্টারের সবজির বাগান থেকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারের মৃত. আব্দুল আলীর ছেলে মো. সুলতানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে হত্যাকাণ্ডের ৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুলতান সবজি চাষের জন্য ১১৬ নম্বর ক্লাস্টারে আসেন। তার ছেলে নুরুল আমিন নাস্তা আনলে তিনি খেয়ে কাজ শুরু করেন। এরপর নুরুল তার বাবাকে রেখে ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারে চলে যায়। পরে দুপুরে ভাত নিয়ে এসে তার বাবাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এরপর আশপাশের লোকজন নিয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ১১৬ নম্বর ক্লাস্টারের ভেতর তার বাবার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার ৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দেশীয় দা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিকভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবে বলে জানিয়েছেন। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান ওসি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।