আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

আগের সংবাদ

বাজার তদারকি দৃশ্যমান নয়

পরের সংবাদ

ঈদযাত্রা কি স্বস্তিদায়ক হবে

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈদযাত্রা নিয়ে প্রতি বছর দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। ঈদযাত্রাকে নিরাপদ ও নির্বিঘœ করতে কর্তৃপক্ষ নানা পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দেন, আশ্বাস-প্রতিশ্রæতি দেন। তারপরও টিকেট নিয়ে কালোবাজারি, দাম বৃদ্ধি, সড়কে দুর্ঘটনা, লঞ্চডুবিসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে থাকে। এমন ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ বছর ১২ মার্চ রোজা শুরু হয়েছে। আর পবিত্র ঈদুল ফিতর নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর। তবে ইতোমধ্যে ঈদের জন্য ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল সম্ভাব্য ছুটির তারিখ নির্ধারণ করা আছে। এভাবে হলে ঈদের পরদিন ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এরপর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ। এ দিনও সরকারি ছুটি অর্থাৎ ঈদুল ফিতরে ৫ দিন ছুটি নিশ্চিত হয়ে আছে। তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে ৮ ও ৯ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করার বিষয়ে ভাবতে হবে। ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রায় মুসলমানদের পাশাপাশি অন্য ধর্মাবলম্বীরাও পহেলা বৈশাখ উদযাপনে লম্বা ছুটির সুবাদে গ্রামের বাড়ি যাবে। তাই যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে। ৯ ও ১০ এপ্রিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে। অথচ আমাদের গণপরিবহনগুলোতে ২২ থেকে ২৫ লাখের মতো মানুষ পাড়ি দেয়ার সক্ষমতা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আগে ছুটি না বাড়ালে দেশের সব পথে যাতায়াত পরিস্থিতি নৈরাজ্য হতে পারে। গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, এবারের ঈদে দেশে ৭১৪টি স্থানে যানজট হতে পারে। ১০টি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ২১৮টি অতিঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনার স্পটের বিষয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সরকারকে সতর্ক করেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এসব স্পটেই ৬০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে এবারো ঈদে যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পত্রপত্রিকায় নানা জায়গায় সড়কপথের যানজটের খবর দেখা গেলেও সরকারের সংশ্লিষ্টদের দাবি, এবার দেশের সড়ক যোগাযোগ ভালো অবস্থায় আছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ, সেতু সচল রয়েছে। এবারো ঈদ উপলক্ষে সড়কপথে বিআরটিসির বাড়তি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে; ট্রেনে বাড়তি বগি ও ইঞ্জিন সংযোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেন ও নৌযানের ছাদে যাত্রী ওঠা ঠেকাতে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা এসব উদ্যোগের কার্যকারিতা দেখতে চাই। আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ যাতায়াত করবে। ঘরে ফেরা এত মানুষের চাপে অনেক সময় বাস, ট্রেন, লঞ্চ কোনোটাতেই নির্ধারিত সময়সূচি রক্ষা করা সম্ভব হয় না। তবে যাত্রী ভোগান্তি কতটা সীমিত রাখা যায় সে চেষ্টাই সংশ্লিষ্টদের থাকা উচিত। পরিবহন মালিক-শ্রমিক, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং যাত্রী সাধারণ সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থানে দায়িত্বশীল আচরণ করেন, তাহলে ঈদযাত্রা অনেকটাই নির্বিঘœ ও নিরাপদ রাখা সম্ভব। পরিবহন ব্যবসায়ীরা যেন ত্রæটিপূর্ণ যান পথে না নামান, চালকরা যেন বেপরোয়া যান চালনা থেকে বিরত থাকেন, হাইওয়ে পুলিশরা যেন মানবিকতা নিয়ে তৎপর থাকেন, আর সর্বোপরি যাত্রীরা যেন ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল না করেন- এ সময়ে এই আমাদের প্রত্যাশা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়