আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

আগের সংবাদ

বাজার তদারকি দৃশ্যমান নয়

পরের সংবাদ

অবৈধ হাসপাতালের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী : রমজানে গতি কমেছে তবে অভিযান চলবে

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সেবিকা দেবনাথ : শুরুটা জোরেসোরে হলেও এখন অনেকটা শ্লথ গতিতে চলছে অবৈধ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযান স্বাস্থ্য বিভাগের রুটিন কাজ। সারা বছরই মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অন্যান্য কার্যক্রমের সঙ্গে কাজটি পরিচালনা করা হয় বলে অনেক সময় ধীরগতি মনে হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ভোরের কাগজকে জানান, রমজান মাস উপলক্ষে অভিযানের গতি শ্লথ হলেও অভিযান বন্ধ হয়ে গেছে, এমনটি নয়। তিনি বলেন, অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে আগেও আমার যে অবস্থান ছিল, এখনো তা-ই আছে। বৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার আমরা বন্ধ করতে চাই না। তবে নিয়মের আওতায় না এলে সেই প্রতিষ্ঠান অবশ্যই বন্ধ করা হবে।
অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযান সারা বছরই চলবে। সাময়িকভাবে অভিযান বন্ধ থাকলেও দ্রুতই তা আবার চালু হবে। মাঝে মাঝে বিরতি দেব। মাঝে মাঝে আবার অভিযানেও নামবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিম। অবৈধ ক্লিনিকের মালিকরা এই সুযোগে তাদের যে বিচ্যুতি আছে সেগুলো তারা সংশোধন করে নেবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,

সারাদেশে ১৫ হাজার ৪৮টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের নিবন্ধন রয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ২৯টি হাসপাতাল, ১০ হাজার ২২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ১৯৭টি ব্লাড ব্যাংক। বাস্তবে এই সংখ্যা অন্তত ২৩ হাজারের বেশি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, দেশে নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা ১ হাজার ২শর বেশি নয়।
জনস্বাস্থ্যবিদরা মনে করেন, দেশের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংক মনিটরিংয়ে যুগোপযোগী আইনের প্রয়োজন। ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশ ৪০ বছর পর এখন অকার্যকর। নতুন আইন প্রণয়ন করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে মনিটরিং আরো জোরদার করা প্রয়োজন। তবে বেসরকারি খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছর বছর হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়নের ঝামেলায় অনেক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা কাগজপত্র আপডেট রাখতে পারেন না। বছর-বছর নবায়ন অনেকটা ভোগান্তির কাজ। নবায়নের সময়সীমা অন্তত কয়েক বছর বাড়ানো দরকার। তাহলে সবাই নিয়মের মধ্যে চলে আসবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়