দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক

আগের সংবাদ

বিচার ও স্বীকৃতি যেভাবে সম্ভব : একাত্তরের গণহত্যা

পরের সংবাদ

রক্তাক্ত মস্কো

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

১৯৯৯ সাল থেকে বারবার জঙ্গি হামলার কবলে পড়েছে মস্কো। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় কনসার্ট হলে মুখোশ পরা বন্দুকধারীদের ভয়াবহ হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে। এমন বর্বর ঘটনার জন্য আমরা ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করছি। সেসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং রাশিয়ার জনগণ ও সরকারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। হামলার জন্য কারা দায়ী, বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তা বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিতে পারে। ইউক্রেন যেহেতু রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে রয়েছে, মস্কো এ হামলার দায় তাদের ওপর চাপাতে পারে- এমনটা ভেবে উদ্বিগ্ন হতেই পারে দেশটি ও তার মিত্ররা। তবে হতাহতের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আইএস যেভাবে সাধারণত হামলা করে, তার সঙ্গে এ হামলার মিল রয়েছে। অর্থাৎ কোনো স্থানে হামলা চালিয়ে যতবেশি সংখ্যক মানুষকে হত্যা করা যায়, ঠিক তেমনটাই দেখা গেছে মস্কোর এ ঘটনায়। ২০০৪ সালে বেসলান স্কুলে হামলার ঘটনার পর থেকে এটিই রাশিয়ায় হওয়া সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। এ সময় তারা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা গেছে, হামলাকারীরা গুলি করার পাশাপাশি বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে। এতে ক্রোকাস সিটি হলে আগুন ধরে যায়। ফলে হলের ছাদও ধসে পড়েছে। জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যখন পুরো বিশ্ব সরব, বিশ্বনেতারা একাট্টা, তখনো এর ভয়াবহ রূপ পৃথিবীর কোনো না কোনো প্রান্তের মানুষকে কাঁদিয়েছে। জনবহুল মার্কেট থেকে পার্ক-বিমানবন্দর কিংবা বাসাবাড়ি বা হাসপাতাল, কোনো স্থানই বাদ যায়নি হামলা থেকে। এমনকি ভয়াবহতার বিস্তৃত তালিকা থেকে বাদ পড়েনি মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো জায়গাও। আলোচিত-সমালোচিত, বিশ্ব নাড়ানো এসব দুঃসহ ঘটনা এখনো কাঁদায়। নতুন সহস্রাদের শুরুতেই কুখ্যাত নাইন-ইলেভেনের মধ্য দিয়ে ধর্মান্ধতার রাজনীতি জঙ্গিবাদ নামে এক নতুন রূপ পরিগ্রহ করে। দৃশ্যপটে আসে আল কায়েদা, আইএসআইএসের মতো উগ্রপন্থি ইসলামী নিষিদ্ধ সংগঠন। বিশ্বকে সন্ত্রস্ত তটস্ত করে তোলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গোষ্ঠীটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বিরোধিতা করে আসছিল। এই ভয়াবহ হামলাকে আইএসের সহিংস কর্মকাণ্ডে এক নাটকীয় বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্ব জঙ্গিবাদ এবং ধারক সংগঠনগুলো কোনো না কোনোভাবে পরাশক্তিগুলোর সমর্থনপুষ্ট। আল কায়েদা কিংবা আইএসআইএস প্রকারান্তরে পরাশক্তিদেরই সৃষ্টি। এদের সৃষ্টি করা হয়েছে নিজেদের ব্যবহারের জন্য। জাতি-গোষ্ঠী-ধর্ম-বর্ণের অনেক ঊর্ধ্বে অবস্থান মানবতার। সেই মানবতা রক্ষার জন্য ধর্মীয় উগ্রবাদ বন্ধ হোক। বর্বর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্তদের চিহ্নিত করা হোক। শাস্তির আওতায় আনা হোক। বিশ্ব জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশের মতো সেক্যুলার গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়