দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক

আগের সংবাদ

বিচার ও স্বীকৃতি যেভাবে সম্ভব : একাত্তরের গণহত্যা

পরের সংবাদ

দুর্নীতি ও ভেজালমুক্ত চেতনার প্রত্যাশায়

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অনেক প্রতিকূলতা ডিঙিয়েও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বিগত সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হব। যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন তাদের রক্তের ঋণ তো আমাদের পরিশোধ করতে হবে। দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিপূর্ণভাবে সুরক্ষিত থাকুক, শালীনতা ফিরে আসুক মানুষের শব্দচয়নে। অশালীন আর কুরুচিপূর্ণ বাক্য বিনিময় চিরতরে বিদায় হয়ে যাক। সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে ফিরে আসুক হারানো আত্মবিশ্বাস, আত্মনির্ভরশীলতা, মর্যাদাবোধ, জাতীয়তাবোধ, বলিষ্ঠ জীবন আর মানবতাবোধ। কিছু মানুষের মধ্যে বৈষম্যমূলক যে চিন্তার উদয় হয়েছে তার নিপাত হোক।
স্বাধীনতাহীনতায় যেমন কেউ বাঁচতে চায় না, তেমনি এমন স্বাধীনতাও কেউ চায় না, যে স্বাধীনতা মানুষের অগ্রযাত্রা তথা বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। স্বাধীনতার সুফল সবার ঘরে পৌঁছতে হবে সুষমভাবে। নতুন আশা ও স্বপ্ন নিয়েই উদযাপিত হোক স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। দেশে আছি অথচ দেশকে ভালোবাসি না। মানুষকে ভেজাল খাওয়াচ্ছি, ঘুষ খাচ্ছি। যুব সম্প্রদায়ের হাতে মাদক তুলে দিচ্ছি। ভেজাল আছে বলেই আসল জিনিসের কদর আছে। আমরা স্বাধীন দেশে বাস করছি অথচ সুষম খাদ্য খাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা পরাধীন। আশা করছি ভেজাল মেশানোর প্রেমে বিভোর ব্যবসায়ী সাধারণ ভোক্তাদের নির্ভেজাল খাদ্যদ্রব্য পরিবেশন করবেন। আজকাল খাবারে ভেজাল কথাটা যেন প্রভাতে সূর্য উদয়ের মতোই সত্য। ব্যবসায় অধিক লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা তাদের মনুষ্যত্ব নষ্ট করে ফেলছেন।
রাজনৈতিক হিংসা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। একটা সময় ছিল রাজনীতির নামে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হত্যা করা হয়েছিল। আমাদের সব রাজনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে যদি মানবতার উন্নয়নকে কাজে লাগানো যায় তাহলে দেশের মানুষ অনেক সমৃদ্ধ হবে। স্বাধীনতার সুফল যেন সব মানুষের ঘরে পৌঁছায় তার জন্য যেমন সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে, তেমনি কঠোর নজরদারির মধ্য দিয়ে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নও করতে হবে। কিছু মানুষের অনেক সম্পদ এবং বেশি মানুষ সম্পদহীন বা স্বল্প সম্পদের মালিক, এই অবস্থা বহাল রাখলে স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হবে না। কেউ খাবে আর কেউ খাবে না- তা হবে না। বাংলাদেশ যখন এগিয়ে চলছে, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্ম প্রচেষ্টায় দেশের বিভিন্ন সেক্টরে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে, ঠিক তখন একশ্রেণির অশুভ চিন্তার মানুষ বিনা উস্কানিতে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত দিয়েছে। দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি নষ্ট করেছে। সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি আর সন্ত্রাস জাতীয় অগ্রগতির বাধা হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সাফল্য বয়ে আনুক সব রকমের সাম্প্রদায়িক শক্তি, দুর্নীতি আর সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি-সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য এসবের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। মহান মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। আমাদের দায়িত্ব এ দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রাকে বেগবান করা। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর লাখ লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জ্বল রাখতে দেশ থেকে সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে বাঙালি জাতিকে আরো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই বিশ্বদরবারে উন্নত জাতি হিসেবে আমাদের সমৃদ্ধি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম এখনো বাঙালির মর্মমূলে ঝাঁকুনি দেয়। নারীর নিরাপত্তা, চিকিৎসা খাতে নৈরাজ্য, খাদ্যে ভেজাল, দুর্নীতি, পরিবেশ সমস্যাসহ সব অনিয়মের সমাধান হোক। দেশ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। সেই এগিয়ে যাওয়ার ধারা যেন অব্যাহত থাকে তার দিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।

রূপম চক্রবর্ত্তী : লেখক, চট্টগ্রাম।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়