গাজীপুরে দেড় কেজি হেরোইনসহ গ্রেপ্তার ২

আগের সংবাদ

রাজধানীজুড়ে মশার রাজত্ব

পরের সংবাদ

‘ঝিকে মেরে বউকে শাসন’ : বিরোধীদের নতুন কৌশল

প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

লেখার শিরোনামে উল্লেখিত প্রবাদটি আমাদের সমাজে যুগ যুগ ধরে উচ্চারিত হচ্ছে। এর মানে কী তাও সবারই জানা আছে। এককথায় ঘরের স্ত্রীর ওপর স্বামীর রাগ ঝাড়তে ঘরে দরিদ্র ঝিদের ওপর একচোট নেয়া আরকি! আমাদের দেশের রাজনীতিতেও এই প্রবাদেরই অনুশীলন ঘটতে দেখা যাচ্ছে। যুগপৎ আন্দোলনকারীরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন এবং প্রতিহত করার নানাভাবে চেষ্টা করে সফল না হওয়ার পর আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী সরকারকে উৎখাত করার কথা প্রায় প্রতিদিনই বলে বেড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসার জন্য যুগপৎ আন্দোলনকারীরা ভারতকেই দায়ী করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে যেন কোনো হস্তক্ষেপ না করে, এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা যেন নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বোঝাপড়া হয়েছিল। নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার- তাতে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশ হস্তক্ষেপ না করার ব্যাপারে একমত হয়েছিল। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে গত বছর বড় বড় দেশগুলোর মধ্যে যে প্রতিযোগিতা চলছিল তা মোটেও কাম্য ছিল না। কিন্তু স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে অতি মাত্রায় আগ্রহী ছিল। ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যাপারে তারা বাংলাদেশেকে পাশে পেতে চেয়েছিল। ঘন ঘন প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে সরকারের ওপর যেমন চাপ দিচ্ছিল, বিরোধীদের মনেও আশার আলো জ¦ালিয়ে দিয়েছিল। তা থেকেই বিরোধীরা ধরে নিয়েছিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দাবির প্রতি পরোক্ষভাবে হলেও সমর্থন জানিয়ে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ এবং নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে, সরকার বাধ্য হবে পদত্যাগ করতে। সে ক্ষেত্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাদের হিসাব মতোই অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিরোধীদের এসব হিসাব-নিকাশ মোটেও কাজে লাগেনি। ২৮ অক্টোবর-পরবর্তী সময়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো যায়নি, সরকারের বিরুদ্ধেও জনগণকে রাস্তায় নামানো যায়নি। নির্বাচন কমিশন যথারীতি তফসিল ঘোষণা করলে বিরোধীরা হরতাল, অবরোধ ও অসহযোগ ডেকে নির্বাচন বর্জন এবং প্রতিহত করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের এসবের কোনোটাই খুব একটা কাজে লাগেনি। বিএনপির নেতাকর্মীদের অনেকেই বিভিন্ন মামলায় আটক হন, বাকিরা আত্মগোপনে ছিলেন। বিএনপির অনুপস্থিতিতে নামসর্বস্ব ছোট ছোট দলের নেতারা জাতীয় প্রেস ক্লাবকেন্দ্রিক এলাকায় কিছু মিছিল এবং ছোট ছোট সমাবেশ করা ছাড়া কিছুই করতে পারেনি। বিরোধীরা ভেবেছিল সরকার বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় আবারো জয়ী হয়ে আসবে এবং সেই সরকারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকেই গ্রহণ করবে না। কিন্তু তাদের এই হিসাবও ভুল প্রমাণিত হলো। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রতিদ্ব›িদ্বতার যে অভিনব ব্যবস্থা করেছিল তা বিরোধীরা কিংবা রাজনৈতিক মহল আগে থেকে ভাবতে পারেনি। ফলে নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে, অধিকাংশ আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাও হয়েছে। বিরোধী দল যেমনটি চেয়েছিল তেমনটি হয়নি। মার্কিনিরাও হস্তক্ষেপ করতে আসেনি বরং নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। সব দেশই শেখ হাসিনা সরকারকে গ্রহণ করেছে। বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি বিরোধীদের। যুগপৎ আন্দোলনকারীরা এর দায় চাপাতে চাচ্ছে ভারতের ওপর। দেশে নির্বাচন ঠেকাতে না পেরে ভারতকে শায়েস্তা করতে চাচ্ছে। সেই শায়েস্তার অংশ হিসেবেই ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে যুগপৎ আন্দোলনকারীরা।
সম্প্রতি যুগপৎ আন্দোলনকারী দলগুলোর পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে, তাতে জনগণকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হচ্ছে। ১২ দলীয় জোটের বিতরণকৃত লিফলেটের শিরোনাম- ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন ও আগ্রাসন প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ান’। নেতারা নয়াপল্টনে পলওয়েল মার্কেটে এই লিফলেট বিতরণ করেছেন। গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরাও তাদের বক্তৃতায় এখন ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্য মাঠে নেমেছেন। অন্যদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা ভারতের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে বক্তব্য দিচ্ছেন। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ভারত প্রসজ্ঞে বলছেন, ‘ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক করছে না, একটি দলকে সমর্থন দিচ্ছে।’ বিএনপি যদিও প্রকাশে এখনো ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা উচ্চারণ করেনি, তবে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বেশ কয়েক দিন আগে বলেছেন, ‘এ সরকার ভারত-চীন-রাশিয়ার। এ সরকার বাংলাদেশের জনগণের না।’ গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম উচ্চারণ করেননি কেন, সেটা বোধহয় ব্যাখ্যা করে বলার দরকার পড়ে না। নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনকারীদের আস্থা কতটা ছিল তাও সবার জানা বিষয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করেই বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনকারীরা সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনে নেমেছিল। তারা কোনো অবস্থাতেই সংবিধান অনুযায়ী আয়োজিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচন প্রতিহত করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। এখন মনের ঝালটা মেটাতে ভারতকে টার্গেট করা হচ্ছে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে যুগপৎ আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ আলোচক হিসেবে এসে ভারতের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ, ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা বলতে দ্বিধা করছেন না। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ব্যাপারেও তাদের সম্মতি রয়েছে সেটি বোঝা যাচ্ছে। তাদের এসব প্রচার-প্রচারণা তাদের সমর্থকদের মধ্যে কেউ কেউ সমর্থনও করছে। দোকানে গিয়ে কেউ কেউ ভারতীয় পণ্য নয় বিদেশি কিংবা দেশি পণ্য কেনার কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু এটি যে বাংলাদেশে একেবারেই অচল চিন্তা, সেটি তাদের কে বোঝাবে? ভারতীয় পেঁয়াজ না হলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কোন পর্যায়ে যায়, সেটি সবার জানা বিষয়। ভারত বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি না করলে ভারতের দারুণ ক্ষতি হয়ে যাবে এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। পৃথিবীতে ভারতীয় পণ্য রপ্তানি করার বহু দেশ রয়ে গেছে। আমাদের দেশে রপ্তানি না করলে তাদের পণ্য সামগ্রী পচে যাবে না। কিন্তু ১৮ কোটি মানুষের এই বাংলাদেশে সবকিছু আমরা চাহিদা মতো উৎপাদন করতে পারি না। আমাদের লোক সংখ্যা বেশি, জায়গা কম। ফলে অনেক কিছুই আমাদের আমদানি ভারত থেকেই করতে হয়। যারা এই মুহূর্তে ভারতীয় পণ্য বর্জনের দাবি জানাচ্ছেন, তারা হয়তো ব্যক্তিগতভাবে বিদেশি পণ্য বেশি দামে কেনার সক্ষমতা রাখেন, কিনেও হয়তো থাকেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ বাজারে কম মূল্যে যেটা পান সেটাই ক্রয় করবেন, করেও থাকেন। মানুষ অসুস্থ হলে দেশের ডাক্তারদের দিয়ে চিকিৎসা করাতে চেষ্টা করেন, কিন্তু দেশের চিকিৎসায় যারা আস্থা রাখতে পারছেন না কিংবা জটিল কোনো রোগের চিকিৎসার প্রয়োজন হলে অনেকেই ভারতে চিকিৎসা নিতে যান। সবার পক্ষে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। তাই তারা ভারতের দিকেই যাচ্ছেন। প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে কত মানুষ ভারতে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন সেটা এই লিফলেট বিতরণকারীরা ভালো করেই জানেন, তারপরও না জানার ভান করেছেন। প্রতিদিন কত মানুষ ভারতীয় ভিসার জন্য লাইনে দাঁড়ান তার হিসাব কি তারা রাখেন?
ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ, ১৯৭১ সালে ভারতের সহযোগিতার কথা রাজাকার, জামায়াত, মুসলিম লীগার ছাড়া আর কেউ অস্বীকার করে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের অমীমাংসিত অনেক সমস্যার সমাধান আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে তখনই হয়েছে। ছিটমহল সমস্যাটি ১৯৪৭ সাল থেকেই চলে আসছিল, সেটির সমাধান হয়েছে। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা চলছে, আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধান হবে। বিএনপি যতবার ক্ষমতায় ছিল, ভারতের সঙ্গে কোনো বড় ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে এমনটি বিএনপির নেতারাও দাবি করতে পারবেন বলে মনে হয় না। এখন যারা নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ ভারতের ঘাড়ের ওপর চাপাতে চাচ্ছেন তারা দেশে একটা ভারতবিরোধী জিগির তোলার চেষ্টা করছেন। এটি পাকিস্তান আমল থেকে মুসলিম লীগার এবং অতি বাম, অতি ডান মতাদর্শের ব্যক্তির দলগুলো প্রচার করেছে। ১৯৭১ সালেও তাদের অবস্থান দেখা গেছে। ১৯৭৫-এর পর ভারতবিরোধী জিগির পুনরায় রাজনীতির মাঠে আমদানি করা হয়েছিল। তাতে লাভ কার হয়েছে? একমাত্র প্রতিক্রিয়াশীলদেরই হয়েছে। ভারতবিরোধী ট্রাম্প খেলে নির্বাচনে বৈতরণী পার হওয়ার কৌশল কাজে লাগানো হয়েছে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি এই ট্রাম্প কার্ড আমদানি করেছিল। বলা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে ‘গোলামির চুক্তি’ নবায়ন করা হবে। ১৯৭২ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের জন্য বঙ্গবন্ধু এবং ইন্দিরা গান্ধীর চুক্তির মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছিল সেটিকে একসময় জাসদ, ভাসানী ন্যাপ গোলামির চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। ’৭৫-এর পর মওলানা ভাসানীকে দিয়ে ফারাক্কা লংমার্চ করানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি। ২০০১ সালে নির্বাচনে নতুন ভারতবিরোধী ট্রাম্প কার্ড খেলা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। বিএনপির সেই প্রচারণা সর্বত্র ছড়িয়ে ছিল। ভারতে যতবারই শেখ হাসিনা সফরে গেছেন ততবারই বলা হয়েছে দেশ বিক্রির জন্য তিনি ভারতে গেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারত সফর করেছেন সত্য, কিন্তু কোনো সমস্যার সমাধান করতে পেরেছেন বলে জানা নেই। এখন বিজেপির বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনকারীরা কথা বলছেন অথচ প্রথম বিজেপির মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি উল্লসিত হয়েছিল। কিন্তু বেশিদিন তাদের সেই উল্লাস টিকেনি। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ২০১৩ সালে ঢাকা সফরে এসেছিলেন। তখন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। প্রণব মুখার্জির সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎ থাকা সত্ত্বেও সেদিন ঢাকায় হরতাল ডাকা হয়েছিল। প্রণব মুখার্জির সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া হরতালের অজুহাত দেখিয়ে বৈঠকে উপস্থিত হননি। চারদলীয় জোট সরকারের সময় ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে উলফা এবং সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া, অস্ত্র পাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগ হাতেনাতে প্রমাণিত হয়েছিল। বাংলাদেশে ১০ ট্রাক অস্ত্রের গন্তব্য কোথায় সেটিও জানাজানি হয়েছিল।
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হয়। বিএনপি এবং উগ্র ডান ও বাম ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো ভারতের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ প্রকাশে এবং জনমনে প্রচার করে থাকে তার অনেকটাই সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপ্রসূত, কূটনীতি এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট মনোভাবাপন্ন নয়। এখন যেসব দল ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রচার শুরু করেছে তা কতটা হালে পানি পাবে, সফল হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের আওয়াজ কতটা বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে, হয়তো সেটি দেখেই গ্রহণ করা না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়