রেজিস্ট্রার পদ থেকে স্বেচ্ছা অব্যাহতি ওহিদুজ্জামানের : নতুন দায়িত্বে ড. আইনুল ইসলাম

আগের সংবাদ

এক্সিমে একীভূত হচ্ছে পদ্মা

পরের সংবাদ

দস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ : নিরাপদে ফিরুক সব নাবিক

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

খবরে প্রকাশ, ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি জাহাজ সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক ও ক্রুকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করছে দস্যুরা। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। আমরা আশা করছি, জাহাজ এবং নাবিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে সরকার আন্তরিকভাবে কূটনীতিক ভূমিকা পালন করবে। শুধু এমভি আবদুল্লাহ নয়, আরো অনেক জাহাজের বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে অতীতে জিম্মি হয়েছিলেন। এদের কেউ ২০ মাস পর, কেউ ১০ মাস পর জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পান। ২০১২ সালে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে ২০ মাসেরও বেশি সময় জিম্মি থাকার পর বাংলাদেশি সাত নাবিক মুক্তি পান। ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর ভারত মহাসাগর থেকে মালয়েশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আলবেডোকে আটক করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এ সময় তারা জাহাজটিতে থাকা ২২ জন কর্মকর্তা ও ক্রুকে জিম্মি করে। ওই ২২ জনের মধ্যে ছিলেন ৭ জন বাংলাদেশি, ৭ জন পাকিস্তানি, ৬ জন শ্রীলঙ্কান এবং একজন করে ভারতীয় এবং ইরানি নাগরিক। এদের সবাই মুক্তিপণ দিয়ে দীর্ঘ সময় পর মুক্ত হয়েছিলেন। জানা যায়, পণ্য বোঝাই থাকায় জাহাজগুলো সাধারণত ধীরে চলে আন্তর্জাতিক নৌ রুটে। এমভি আবদুল্লাহর মতো আকারের জাহাজগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ টন পণ্য বোঝাই থাকে। বেশি পণ্য বোঝাই থাকায় বেশির ভাগ জাহাজের গতি থাকে ১৮ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল। এ কারণেই গতি থাকে কম। জলদস্যুরা যখন কোনো জাহাজকে টার্গেট করে তখন তারা ছোট ছোট বোটে অস্ত্র নিয়ে তিন থেকে চারদিক থেকে আক্রমণ করে। তিন-চারদিক থেকে যখন আক্রমণ করে তখন সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যায়। সোমালিয়ান জলদস্যুর হাতে মঙ্গলবার জিম্মি হওয়া জাহাজটির বেলায়ও তাই দেখা গেছে। ‘এমভি আবদুল্লাহ’ কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজ। কেএসআরএম গ্রুপের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মনি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পায় ১০০ দিন পর। জিম্মি হওয়ার আট মাস পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার ঘটনার সাক্ষী আছেন দুই বাংলাদেশি নাবিক। এদের একজন নাবিক জাফর ইকবাল। অন্যজন নাবিক গিয়াসউদ্দিন আজম খান। তারা আটক হওয়া এমভি মারিয়া মার্গারেট নামের জার্মান পতাকাবাহী জাহাজে কর্মরত ছিলেন। নৌ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, জিম্মি জাহাজের নাবিকরা নিরাপদে রয়েছেন। নাবিকদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। জলদস্যুরা এখন জাহাজটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তারা সোমালিয়া উপকূলের দিকে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং ২৩ নাবিকের মুক্তিপণ বাবদ ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৫০ লাখ ডলার দাবি করেছে জলদস্যুরা। গত মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানা গেছে। এখন জাহাজটির মালিকপক্ষ দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ মুহূর্তে গুরুত্ব দেয়া উচিত ২৩ জন নাগরিকের জীবন ও নিরাপত্তার বিষয়টি। কূটনৈতিক সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে জলদস্যুদের কবলে থাকা জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার তৎপরতায় সরকার ফলপ্রসূ হবে। পাশাপাশি সব নাবিক নিরাপদে বাড়ি ফিরবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়